জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন
ভাষা শহীদ এবং সকল ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জার্মানিতে পালিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় দেশটির রাজধানী বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং অর্ধনর্মিত করার মধ্যে দিয়ে কর্মসূচীর সূচনা করেন রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
এরপর দূতাবাসের ভেতরেই অস্থায়ী শহীদ বেদীতে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, জার্মান ও বার্লিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের প্রবাসীরা ।
দিবস উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বের শুরুতে ভাষা শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া কামনা করা হয়। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করে শোনান রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন জার্মান ও বার্লিন আওয়ামী লীগের নেতা মিজানুর খান, মাসুদ রহমান, নূরে আলম সিদ্দিকী রুবেল, নুরী খানসহ আরো অনেকে।
রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া তাঁর বক্তব্যে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী ভাষা শহীদদের অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। একই সঙ্গে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন “১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধুর প্রস্তাবে ছাত্রলীগ, তমদুন মজলিশ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। এই পরিষদই ভাষা আন্দোলনকে বেগবান করে । জাতির পিতা ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে বার বার গ্রেফতার হয়েছেন। সেই দুর্বার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি শাসকগােষ্ঠীর জারি করা ১৪৪ ধারা ভাঙতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন ভাষা শহীদগণ”।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জার্মানির মত দেশে প্রবাসী বাংলাদেশের শিশুদের জন্য বাংলা স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া খুবই দুঃখের। তাই বাংলা স্কুলগুলো চালু করাসহ বাংলা ভাষার উন্নয়নে দূতাবাসের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি সকল বাংলাদেশি পিতা-মাতাদের নিজেদের শিশুদের শুদ্ধ বাংলা ভাষা শিক্ষা প্রদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠে অংশ নেন সম্প্রতি ২১ পদক প্রাপ্ত জার্মান প্রবাসী কবি নাজমুন নেসা পিয়ারী।