জর্ডানে বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতীয় শোক দিবস পালন

যথাযথ মর্যাদা, বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২০ পালন করা হয়।

রাজধানী আম্মানে দূতাবাস প্রাঙ্গণে সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন জর্ডানের নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান। এ সময়ে উপস্থিত সকলেই কালো ব্যাজ ধারণ করেন।

এরপরে রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মাধ্যমে জাতির পিতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দের আত্মার শান্তি কামনা ও দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং শাহাদাত বরণকারীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

Travelion – Mobile

দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা পর্বে দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. বশির, শ্রম সচিব মো. মনিরুজ্জামান, প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউিনিট ব্যক্তিত্ব ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, এহসান উল হক হেলাল ও জালাল উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, ১৫ আগস্ট আমাদের জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। এমন ঘটনা কেবল দেশের ইতিহাসে নয় বরং পৃথিবীর ইতিহাসেও বিরল। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সবাইকে হত্যার মাধ্যমে খুনিরা যে নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল, বাংলাদেশের মানুষ কখনোই তা হতে দেয়নি। তাই স্বাধীনতার প্রায় অর্ধ শতাব্দী পরও বাংলার ঘরে ঘরে আজ চিরঞ্জীব শেখ মুজিবুর রহমান। বক্তারা বঙ্গবন্ধুর সকল পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির মাধ্যমে আদালতের রায় কার্যকরের আহবান জানান।

আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান জাতির জনকসহ ১৫ আগস্টের কালো রাতে শহীদ সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্বাধীনতার রূপকার। তাঁর যুগান্তকারী আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলার জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তিনি কেবল স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টাই ছিলেন না, জাতি গঠনের কুশলী কারিগরও ছিলেন। তার নেতৃত্বে মাত্র সাড়ে তিন বছরে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ অবকাঠামো ও সমাজ বিনির্মাণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গতিশীল বাংলাদেশের অগ্রগতি থামিয়ে দিতেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাতে চক্রান্তকারীরা তাকে সপরিবারে হত্যা করে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নতির মহাসড়ক ধরে এগিয়ে চলেছে।

সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, মর্মে বঙ্গবন্ধু যে ঘোষণা দিয়ে গেছেন তা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে উল্লেখ করে জাতির পিতার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ এর আওতায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের জন্য সকলকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান নাহিদা সোবহান।

এই উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে ’বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়ঃ ১৫ আগষ্ট ও আমার ভাবনা’ শীর্ষক উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোররা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাদের ভাবনা এবং তাঁর অকাল প্রয়াণে তাদের অনুভূতির কথা ব্যক্ত করে। রাষ্ট্রদূত বিজয়ী শিশু কিশোরদের সন্মাননা পুরষ্কার প্রদান করেন।

রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপন : সমসাময়িক বিষয় – নাহিদা সোবহান- বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত, জর্ডান

রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপন : সমসাময়িক বিষয় – নাহিদা সোবহান- বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত, জর্ডান১২ আগস্ট, বুধবার , জর্ডান : বিকাল ৫ টা __বাংলাদেশ : রাত ৮ টা অতিথি আলোচক :আহসান উল হক হেলাল, কান্ট্রি ডাইরেক্টর মেডা কানাডা ইন জর্ডানমোহাম্মদ নুর আলম-প্রেসিডেন্ট এন্ড সিইও, গ্যালাক্সি এন্ড আপনান এ্যাপারেলএএসএম মাহফুজুর রহমান-সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও জিএম, সিডনী এ্যাপারেলস জালাল উদ্দিন বশির, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, জর্ডানআসাদুজ্জাামান- কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, জর্ডানসালমা আকতার নিপা , পেশাজীবী নারী, জর্ডানসঞ্চালনায় : আহমেদ তোফায়েল, সাংবাদিক ও উপস্থাপকসমন্বয়ক : ওমর ফারুক হিমেল

Posted by AkashJatra on Wednesday, August 12, 2020

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!