জর্ডানে বিজয় দিবস উদযাপনে বাংলাদেশ দূতাবাস

জর্ডানে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে দেশটির সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান সীমাবদ্ধ রাখা হয়।

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানী আম্মানে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় সঙ্গীতের সুরে সুরে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন দেশটি নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান। এসময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও জর্ডানের প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে বাংলাদেশ দূতাবাস-এর কনফারেন্স রুমে বিজয় দিবসের তাৎপর্য উল্লেখ করে বিশেষ আলোচনায় বক্তব্যের শুরুতে রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নের্তৃত্বের কথা তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। আরো স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, মুক্তিযুদ্ধে অত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা, যারা দেশ মাতৃকার জন্য জীবন এবং নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন তাঁদের আত্মত্যাগের কথা। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিদেশী বন্ধুসহ যাঁরা আমাদের বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন।

Travelion – Mobile

রাষ্ট্রদূত বলেন,”বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযোদ্ধাদের অপরিসীম ত্যাগ ও বীরত্বগাঁথা চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আজ কৃতজ্ঞ জাতি সশ্রদ্ধ বেদনায় স্মরণ করছে দেশের পরাধীনতার গ্লানি মোচনে প্রাণ উৎসর্গ করা বীরসন্তানদের। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয় অর্জনের ইতিহাস শুধু ১৯৭১ সালে সীমাবদ্ধ নয়। ইস্পাত কঠিন ঐক্যে দৃঢ় জাতির দীর্ঘ সংগ্রাম আর ত্যাগের সুমহান ফসল এ বিজয়।”

রাষ্ট্রদূত আমাদের জাতীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধভাবে অবদার রাখার আহ্বান জানান।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!