কুয়েতে বাংলাদেশ থেকে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
কুয়েতে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কারও বাণিজ্যিক উড়ান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।
আজ সোমবার দেশটির সিভিল এভিয়েশন অধিদপ্তর, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কার্গো ফ্লাইট বাদে বাংলাদেশসহ এই ৪ দেশের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্যিক উড়ান স্থগিতের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।
বাংলাদেশ থেকে এই সব দেশের প্রবাসীরা তৃতীয় কোন দেশে কমপক্ষে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে না থেকে কুয়েতে প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। তবে কোন পেশার প্রবাসীরা প্রবেশ করতে পারবেন সে সর্ম্পকে নতুন বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
আগের বিজ্ঞপ্তিতে শুধুমাত্র গৃহকর্মী ও স্বাস্থ্য কর্মীদের তৃতীয় দেশে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার সাপেক্ষে এবং পিসিআর পরীক্ষা ও দেশে কোয়ারেন্টিনসহ প্রয়োজনীয় সকল স্বাস্থ্যবিধি অনুসরনণে কুয়েত প্রবেশের অনুমতি রয়েছে।
কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সূত্রের উদ্ধতি দিয়ে আরবি দৈনিক আল-কাবাস জানায়, কুয়েতে গৃহকর্মীদের (২০নং ভিসা ধারক) ফিরিয়ে আনার সুবিধার্থে “বিল সালামা” প্ল্যাটফর্মে পাঁচটি নতুন গন্তব্য যুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি, দুবাই ও শারজাহ, ইওথিপিয়ার আদিস আবাবা, এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুল। নিয়োগকর্তা এবং ট্রাভেল এজেন্সিগুলি এই ৫ গন্তব্য থেকে গৃহকর্মীদের ফিরে আসার জন্য ফ্লাইটের টিকিট দিয়ে প্যাকেজ বুক করতে পারে।
এদিকে সিভিল এভিয়েশন অধিদপ্তর গতকাল এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে যে, তারা কিছু যাত্রীকে দেশে আসার সময় করোনার পিসিআর পরীক্ষা দিতে ছাড় দিয়েছে। সংস্থাটি তার টুইটার অ্যাকাউন্টে বলেছে যে, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে কুয়েতে আগত প্রত্যেক ব্যক্তিকে করোনাভাইরাস রোগমুক্তি প্রমাণে পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে।
দেশটির সরকারী যোগাযোগ কেন্দ্রও এক বিবৃতিতে বলেছে, “কুয়েতে পৌঁছানোর পরে কিছু যাত্রীকে কভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্টে পদ্রান থেকে বঞ্চিত করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুজব সত্য নয়। কুয়েতে আগত সকল জাতীয়তা এবং গোষ্ঠীগুলির জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী এই পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।
