ওমানে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে পুলিশ

করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সুপ্রিম কমিটির জারি করা নতুন নির্দেশনা জনগণ অনুসরণ করেছে কিনা তা নিয়ে ঈদে ওমানের ১১ টি প্রদেশে রয়্যাল ওমান পুলিশের সমস্ত ইউনিট ব্যস্ত রয়েছে।

নতুন নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য এরই মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই প্রবাসী। ঈদের নামাজ আয়োজন, জনসমক্ষে বড় সমাবেশ, বাইরে বা প্রকাশ্যে মাস্ক না পড়াসহ নানা লংঘনে তাদের গ্রেপ্তার বা জরিমানার শাস্তি পেতে হয়।

আরপির বিবৃতিতে বলা হয়েছে,, রাজধানী মাসকটের ঘালা শিল্পাঞ্চলে ঈদের নামাজ আদায় করতে জড়ো হওয়ার পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আর আল খুদহের একটি ভবনের ছাদে একত্রিত হয়ে নামাজ আদায় করার জন্য আরও ১৩ জনের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Travelion – Mobile

অন্যদিকে,আল আনসাব এলাকায় জনসাধারণকে একত্রিত করা এবং ক্রিকেট খেলার অভিযোগে ৩৪ জন প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে মাসকাট গভর্নেট পুলিশ কমান্ড। সুপ্রিম কমিটির সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করায় তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক জরিমানা জারি করা হয়েছে।

এ ছাড়া উত্তর আল শারকিয়ায় সিনাওয়ে অবৈধভাবে উটের গোশত গ্রিল করার জন্য একদল নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়, আর আল দাখিলিয়ায় পাবলিক প্লেসে জড়ো হওয়ার অভিযোগে ৪৯ জন প্রবাসীর বিরুদ্দে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে,“আল বাতিনা উত্তর গভর্নরেট পুলিশ সদর দফতর পোশাক বিক্রি করার জন্য তিনজন প্রবাসী, সেলাই কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য একজন প্রবাসী, লন্ড্রি সার্ভিস পরিচালনার জন্য দু’জন প্রবাসী এবং সেলুন কার্যক্রম চালানোর জন্য একজন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে।দুটি লঙ্ঘনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা ছাড়া উভয় প্রতিষ্ঠানকে এক মাসের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ”

রয়্যাল ওমান পুলিশের নতুন নির্দেশনায়, ওমানি এবং প্রবাসীদের মধ্যে যারা প্রয়োজন দেখা দেওয়ার পরও করােনাভাইরাস স্ক্রিনিং পরীক্ষায় অংশ নিবে না তাদের ২০০ রিয়াল জরিমানা দিতে হবে এবং একই অপরাধে পুনরায় ধরা পড়লে সেই জরিমানা দ্বিগুণ করা হবে। যারা প্রাতিষ্ঠানিক বা হোম কোয়ারেন্টিন বিধি লঙ্ঘন করবে তাদেরও একই পরিমাণ জরিমানার অর্থ প্রদান করতে হবে।

আরওপি আরও বলছে, “পর্যটন সাইট, স্টোর, ক্লাব, স্বাস্থ্য/ক্রীড়া সুবিধা এবং পুরুষদের সেলুন পাশাপাশি এবং মহিলাদের পার্লার খোলা রাখা সুপ্রিম কমিটির সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন। লঙ্ঘনকারীকে ৩ হাজার রিয়াল প্রশাসনিক জরিমানা গুনতে হবে,পুনরাবৃত্তির ক্ষেত্রে সেই জরিমানা দ্বিগুণ করা হবে।”

এ ছাড়া সমাবেশে উদযাপন ও জানাজাসহ জনসমাবেশে লোককে আমন্ত্রণ জানানো সুপ্রিম কমিটির সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন। লঙ্ঘনকারী ১ হাজার ৫০০ রিয়াল জরিমানা দিতে হবে এবং পুনরাবৃত্তির ক্ষেত্রে সেই জরিমানা দ্বিগুণ করা হবে।”

একইভাবে, এই জাতীয় জমায়েতে অংশ নেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া সকলকে অবশ্যই ১০০ জরিমানা দিতে হবে, পুনরাবৃত্তি অপরাধীদের দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হবে, এবং যারা প্রকাশ্যে স্থানে মুখোশ পরে না তাদের ওএমআর ২০ রিয়াল জরিমানা করা হবে এবং নিয়ম ভঙ্গ আবার ভঙ্গ করলে দ্বিগুণ জরিমানা করা হবে।

ওমানি এবং প্রবাসীদের মধ্যে যাদের কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রে প্রবেশের পরে ট্র্যাকিং ব্রেসলেট সরবরাহ করা হয়েছে যদি খুঁজে পাওয়া যায় পেয়েছে তা নষ্ঠ করেছে বা সরিয়ে ফেলেছে তাহলে তাদের র ওএমআর ৩০০ জরিমানা করা হবে। পুনরাবৃত্তি হলে দ্বিগুণ জরিমানা করা হবে ।

জরিমানাই শুধু নয় এই আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি পদক্ষেপও নেওয়া হতে পারে। রয়্যাল ওমান পুলিশ তাদের আইন অনুসারে যারা এই আইনগুলি মানতে অস্বীকার করে তাদের ৪৮ ঘন্টা অবধি আটক রাখতে পারে। পাবলিক প্রসিকিউশন সার্ভিসের আদেশে এই শাস্তি বাড়ানো যেতে পারে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!