ইউক্রেনের অন্যতম ভরসা এখন বের‍্যাকটার ড্রোন

একটি বের‌্যাকটার টিবি২ ড্রোন। ইউক্রেনের হেলনিটস্কি মিলিটারি ঘাঁটিতে পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের আগে ড্রোনটির ছবি তোলা হয়েছিল ২০১৯ সালের ২০ মার্চ

রাশিয়ার আক্রমণ মোকাবেলায় ইউক্রেনীয়দের জন্য বের‌্যাকটার ড্রোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ২০১৯ সালে এই অস্ত্র তুরস্কের কাছ থেকে সংগ্রহ করে কিয়েভ।

তুরস্কের তৈরি বের‌্যাকটার ড্রোন লিবিয়া, সিরিয়া ও আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের বিরোধপূর্ণ ছিটমহল নাগার্নো-কারাবাখে সামরিক সংঘাতে ব্যাপক সাফল্য পায়। এই ড্রোনের পুরো নাম বের‌্যাকটার টিবি-২।

Travelion – Mobile

ইউক্রেনের বাহিনী মস্কোর সেনাদের অগ্রযাত্রা রুখতে এই ড্রোন নিয়ে হামলা করছে।

নাগার্নো-কারাবাখ সংঘাতের সময় ২০২০ সালের নভেম্বরে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে আজারবাইজান এই ড্রোন ব্যবহার করে। এটি সেই যুদ্ধে ব্যাপক সাফল্য এনে দেয় তাদের।

তবে রাশিয়ার মতো বড় সামরিক শক্তির মোকাবেলায় ড্রোনটি আগের ক্ষেত্রগুলোর মতো কার্যকর হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে ইউক্রেন এই ড্রোনের ওপর অনেকখানি নির্ভর করছে।

বের‌্যাকটার ড্রোন যুক্তরাষ্ট্রের এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনের ওজনের মাত্র আট ভাগের এক ভাগ। এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটার। লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে চারটি এমএএম লেসার নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে ড্রোনটি।

ছয় হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত করতে পারে এটি। উড়তে পারে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার ফুট উঁচুতে। আর টানা উড়তে পারে ২৭ ঘণ্টা।

ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকোলা ওলেসচুক এই ড্রোনকে ‘জীবনরক্ষক’ বলে অভিহিত করেছেন।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!