আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণ নেয়া সন্ত্রাসীদের মূলোৎপাটন করা হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘গত কয়েক বছরে যেসব সন্ত্রাসী আফগানিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছিল, আমরা তাদের চিহ্নিত করে মূলোৎপাটন করেছি। আমরা সেই খপ্পরে আর পড়তে চাই না।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন আব্দুল মোমেন। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার পর আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর জঙ্গিবাদের উত্থানের ভীতি আছে কি না, তা জানতে চাওয়া হলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সেই ভীতিটা আছে। আমরা দেশবাসীকে বলি, ভুল পথে যাবেন না। তাতে নিজেদের পরিণতি খারাপ হবে। আপনার পরিবারের পরিণতি খারাপ হবে। আপনি সন্ত্রাসী হলে আপনার পাড়াপ্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন সবাই ধ্বংস হবে। আমরা নিশ্চয়ই সতর্ক থাকব।’

Travelion – Mobile

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর তালেবান বাহিনী একের পর এক শহর দখল করে। তার ধারাবাহিকতায় গত রোববার তারা রাজধানী কাবুলের দখল নেয়। একই সঙ্গে পতন ঘটে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সরকারের।

কাবুলে তালেবানের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পরদিন আফগানিস্তান ছাড়তে ভীতসন্ত্রস্ত হাজারো মানুষ জড়ো হয় বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরে উড়োজাহাজে ওঠার মরিয়া চেষ্টায় সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হন। পাকিস্তান সীমান্তেও ছিল মানুষের ঢল।

আফগানিস্তানের মার্কিনপন্থী কিছু নাগরিককে বাংলাদেশে সাময়িক আশ্রয় দিতে ঢাকাকে অনুরোধ জানিয়েছিল ওয়াশিংটন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এই অনুরোধ নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ।

আফগানিস্তান পরিস্থিতি সম্পর্কে গতকাল সোমবার একটি বিবৃতি দেয় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে আফগানিস্তানের দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে, যা এ অঞ্চল ও তার বাইরে প্রভাব ফেলতে পারে। আফগানিস্তানের সব পক্ষকে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বিদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলেছে বাংলাদেশ।

আফগানিস্তানে তালেবানের সরকারকে সমর্থন দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশটিতে জনগণের কোনো সরকার গঠিত হলে তাদের আমরা সমর্থন দেব।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!