বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাতকারে আন্দোলিত হয়েছিলেন মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মরিশাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সড়ক ও রেল মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এলান গানু বলেছেন,“১৯৭২ সালে আমি যখন লন্ডনে আইনের ছাত্র ছিলাম তখন বিবিসিতে বঙ্গবন্ধুর একটি সাক্ষাতকার আমাকে আন্দোলিত করে। আমি দেখিছি যে, তিনি তাঁর জনগণের জন্য কতটা উদ্বিগ্ন এবং নিবেদিত”।
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মরিশাসে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্মৃতিচারণে তিনি এ কথা বলেন।
রবিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানী পোর্ট লুইসে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার শুরুতেই মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান ।
তিনি বলেন, মরিশাস সরকার মানবতার প্রতি বঙ্গবন্ধুর অবদানের জন্য পোর্ট লুইসে “শেখ মুজিব স্ট্রিট” নামে একটি রাস্তার নামকরণ করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলান গানু আরো বলেন, এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ দ্রুততম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করায় আগামী এক দশকের মধ্যেই উন্নত বিশ্বের মর্যাদা লাভ করবে।
মরিশাস এবং বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান বর্তমান সম্পর্ক সামনের দিনগুলোতে আরো সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশা করেন ।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ই আগস্টের কালো রাতে শহীদ সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ট নেতৃত্বে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে বিশ্ব পরিমন্ডলে বাঙালী জাতির পরিচয়ের গৌরব প্রতিষ্ঠা করেন।
“আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু আমরা তাঁর স্বপ্নকে ধারন করছি এবং তা পূরণে বদ্ধ পরিকর”,হাইকমিশনার যোগ করেন।
অনুষ্ঠানে মরিশাসের সাবেক ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি, লর্ড মেয়র, পোর্ট লুইস ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মরিশাসে নিযুক্ত দক্ষিন আফ্রিকা, মিশর, জাপান এবং চীনের রাষ্ট্রদূত,
ভারত, সৌদি আরব, লিবিয়া, ঘানা ও মাদাগাস্কার দূতাবাসের প্রতিনিধি, আইওআরা ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, মরিশাসের বিশিষ্ট ব্যক্তি, প্রবাসী বাংলাদেশি সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।
আলােচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত বিশেষ প্রামান্য চিত্র “সোনালী দিন” প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে মোনানো হয়।
দিবসের শুরুতে সকালে হাইকমিশনার চত্বরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু করা হয় । এসময় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।