অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

করোনার প্রাদূর্ভাব প্রতিরোধের সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে বিধি অনুযায়ী স্বল্প পরিসরে অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস এবং স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

সকালে রাজধানী ভিয়েনায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুল মুহিত। এরপর রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভার শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

Travelion – Mobile

দূতাবাসের প্রথম সচিব এবং দূতালয় প্রধান তারাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অস্ট্রিয়া, হাংগেরি, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়াতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা প্রবাসে বসবাসরত নতুন প্রজন্মের মাঝে মাতৃভাষা চর্চার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া অস্ট্রিয়াতে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য অনুরোধ জানান অস্ট্রিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত আবদুল মুহিত বলেন, বর্তমানে সরকারের উদ্যোগেই ১৯৯৯ সালে ইউনোস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং স্বীকৃতির মাধ্যমে বাঙালি জাতি বিশ্বে আরও মর্যাদাশীল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

এছাড়াও রাষ্ট্রদূত আবদুল মুহিত জানান, কোভিড-১৯ মহামারীর কারনে অন্যান্য বছরের মতো ভিয়েনা জাতিসংঘের সদর দপ্তরে দিবসটি উপলক্ষ্যে পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান করা সম্ভব হচ্ছে না, তবে বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন বাংলাসহ অন্যান্য ভাষায় জাতিসংঘের ভিয়েনা দপ্তরের ভার্চুয়াল পরিদর্শনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে।

রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর অনুকরণীয় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!