লিসবনে জমে উঠেছে ইফতারির বাজার

পবিত্র মাহে রমজান মাসের শুরুতেই জমে উঠেছে ইউরোপের দেশ পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের ইফতারির বাজার। প্রতিদিন দুপুর থেকে বাহারি দেশীয় ইফতারের পসরায় সাজিয়ে বসে লিসবনের ডাউনটাউনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত মুরারিয়া এলাকার মাতৃমনিজের রুয়া দো বেনফরমোসোর প্রবাসী বাংলাদেশি রেষ্টুরেন্টগুলোতে।

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ
]
লিসবনের এই এলাকাটিকে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাও বলা চলে, কারন এই এলাকায় এবং এর আশেপাশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পরিচালনায় রয়েছে ৫ টি এবং আফ্রিকা মুসলমানদের পরিচালনায় ২ টি মসজিদ।

রোজার শুরুর প্রথম দিন থেকেই রুয়া দো বেনফরমোসোর বাংলাদেশী রেষ্টুরেন্ট গুলোতে দুপুরের পর থেকে দেখা যায় নানান ধরনের দেশীয় ইফতারের পসরা। আর এই রাস্তায় ২ টি মসজিদ থাকায় আচর নামাজের পর থেকে শুরু হয় কেনাবেচা। তবে ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসতেই বিক্রেতাদের হাঁকডাক, ব্যস্ততা ও ক্রেতার উপস্থিতি বাড়তে থাকে।

 প্রবাসী বাংলাদেশি রেষ্টুরেন্টে বাহারী ইফতারের পসরা
প্রবাসী বাংলাদেশি রেষ্টুরেন্টে বাহারী ইফতারের পসরা

প্রবাসের কর্মব্যস্থতা কারনে তাদের চাহিদার মোতাবেক এখানকার রেষ্টুরেন্টের কর্মচারী এবং মালিকদের সাথে আলোচনা করে জানা যায় দেশীয় বুট ভাজা, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, ডিম চপ, বিরিয়ানির চাহিদা বেশি।

Travelion – Mobile

মাতৃ ভান্ডারের এনামুলের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যোদ্ধের ফলে গত বছর থেকে এবার ইফতারের দাম কিছুটা বেড়েছে, ফলে এখানকার সীমিত আয়ের বসবাসকারী প্রবাসীদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। সেই কারনে আয়ের সাথে তুলনা করে পরিমাণে অনেকেই কম কিনতে হচ্ছে।

Diamond-Cement-mobile

বিগ বাজারের রাজু জানান, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে এই বার স্বাভাবিকের চেয়ে ফল খাওয়ার পরিমাণ অনেক কমিয়ে দিয়েছে অনেক প্রবাসী। কারণ, আগে কলা ১.২৯ ইউরো, পেয়ারা প্রকার ভেদে ৭ থেকে ৯ ইউরো, আপেল ২.৫০ থেকে ৩ ইউরো, আঙ্গুর ৩.৫ থেকে ৫ ইউরো, আম ৪ ইউরো, মাল্টা ১.৫ ইউরো, টমেটু ২.৫ ইউরো, পেঁয়াজ ১.৫ ইউরো কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে। যাহা গত বছর থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশী দাম।

পর্তুগালের অভিবাসন ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে সহজ হওয়া এখানে প্রতিদিন বিভিন্ন দেশে থেকে ভীড় করছে অভিবাসন প্রার্থী প্রবাসীগন, এমনি একজন হৃদয় জানান, এখানে বেকার এবং ন্যূনতম বেতনের আয়ের মানুষের সংখ্যা বেশী। সেই তুলনায় বর্তমানে প্রতিটি জিনিসেরই দাম বেড়তি, এর ফলে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। রমজান মাস তারপরেও কী আর করা যাবে, বেশী দামে চাহিদার তুলনায় কিছুটা কম কিনতে হচ্ছে।

বেঙ্গল রেষ্টুরেন্টের মালিক পক্ষের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি জানান, রমজানের শুরু থেকে বিক্রি মোটামুটি ভালোই। তবে গত বছর থেকে কয়েকটি পন্যের বিশেষ করে মিষ্টান্ন জিনিসের দাম বাড়ালেও দেশীয় ইফতারের দাম আগের মতোই রাখা হয়েছে।

বাংলা রেষ্টুরেন্টের মালিক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, কাঁচা মালের দামের ঊর্ধ্বগতির ফলেও রোজা উপলক্ষ্যে প্রবাসীদের কথা ভেবে ইফতার সাধ্যের মধ্যে যেন কিনতে পারে তাই ৩.৫ থেকে ৫ ইউরোর বিশেষ প্যাকেজ রেখা হয়েছে আমাদের রেষ্টুরেন্টে।

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!