মার্কিন মহাকাশ বাহিনী গঠন করেছেন ট্রাম্প
‘মার্কিন মহাকাশ বাহিনী’ নতুন একটি বাহিনী গঠন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৪৭ সালের পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কোনো সামরিক বাহিনী চালু করা হলো।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গতকাল শুক্রবার এই নতুন বাহিনীর অনুমোদন দিয়েছেন। নতুন এই বাহিনী মার্কিন বিমানবাহিনীর অধীনে কাজ করবে।
নতুন এই বাহিনীর জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে গতকাল শুক্রবার। প্রথম বছরে নতুন এই বাহিনীর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর পুরো সামরিক বাহিনীর জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে ৭৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই বাহিনী গঠন সম্পর্কে ওয়াশিংটনে এক সামরিক ক্যাম্পে এসে ট্রাম্প বলেছেন, নিকট ভবিষ্যতে মহাকাশই হবে নতুন যুদ্ধক্ষেত্র। ট্রাম্প বলেছেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা যখন গুরুতর হুমকির সম্মুখীন, মহাকাশে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা করা তখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা এই ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছি ঠিকই, কিন্তু সেটি সন্তোষজনক নয়। আগামী কয়েক মাসে বাকি দেশগুলোর চেয়ে অনেকটা এগিয়ে যাব আমরা। নতুন এই মহাকাশ বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অন্য দেশের আগ্রাসন হ্রাস করতে সহায়তা করবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, ‘মহাকাশের পরিস্থিতি গত প্রজন্মে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। এক সময় যেটি শান্তিপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ছিল, সেই মহাকাশ এখন তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।’
মার্কিন বিমানবাহিনীর সেক্রেটারি বারবারা ব্যারেট বলেছেন, বিমানবাহিনী ও বেসামরিক ১৬ হাজার কর্মকর্তা নিয়ে এই সামরিক বাহিনী গঠিত হবে। নতুন এই বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এয়ার ফোর্স জেনারেল জে রেমন্ড, যিনি বর্তমানে মার্কিন স্পেস কমান্ডের (স্পেসকম) প্রধানের দায়িত্বে আছেন।
নব গঠিত বাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে থেকে জানা যায়, এই বাহিনী কিন্তু মহাশূন্যে গিয়ে সরাসরি যুদ্ধ করবে না। বরং মহাকাশে বিদ্যমান মার্কিন সম্পদগুলো রক্ষার প্রতি বিশেষ মনোযোগী হবে এই বাহিনী। যেমন যোগাযোগ ও পর্যবেক্ষণের জন্য স্থাপন করা শতাধিক মার্কিন স্যাটেলাইটের নিরাপত্তার দিকটি দেখভাল করবে এই বাহিনী।