মাংসের ঐতিহ্যবাহী খাবার

বাংলাদেশ বিভিন্ন এলাকায় যুগ যুগ ধরে নানা সুস্বাদু খাবারের স্বাদ আর যশ বেড়েছে। ঐতিহ্যবাহী এসব খাবারের স্বাদ নেওয়ার অনুভূতিও অন্যরকম। আসুন কয়েকটি জেলায় মাংসের ঐতিহ্যবাহী খাবারের নাম যশ জেনে নিই।

পুরান ঢাকার শাহী বিরিযানী
রসনা বিলাসে ঢাকার নামডাক আছে শত শত বছর ধরে। এখানকার লোকেরা মসলা সমৃদ্ধ খাবার পছন্দ করে। আগেকার সেই সোনারগাঁ বন্দর দিয়ে মসলার জাহাজ এসে ঠেকতো এখানে। ফলে মসলা এখানকার মানুষের জিবে সেঁটে আছে। তাই নানাপদের মাংসের বিরিয়ানী এখানকার লোকদের খাবারের বিলাসীতার অংশ। কারো কারো কাছে আজকাল সেটা নিত্য আহার হয়ে যায়।

চট্টগ্রামের মেজবানি মাংশ
চট্টগ্রামের মেজবানি মাংশ

চট্টগ্রামের মেজবানি মাংশ
চট্টগ্রামের শাহী খাবার হলো মেজবানী মাংশ। সেটা গরুর মাংশের খাবার। বিশেষ অনুষ্ঠানে দাওয়াতী মেহমানের জন্য রান্না একটু ভিন্ন রেসিপিতে রান্না করা হয়। এই খাবারের স্বাদও মনে রাখার মতো। মেজবানি মাংশ দুরকম। একটা হলো মাংশের রেজালা বা মাখো মাখো ঝোল দিয়ে মাংশ রান্না। অন্যটা হলো ছোলা দিয়ে মাংশ রান্না। দুটোই স্বাদে কাছে টানে এতটাই যে, কখনো কখনো রান্না করা মাংশই শহরে বিক্রি করা হয় কেজি দরে। মেজবানী যখন খাওয়ায় তখন হাজার লোকের অভাব হয় না দাওয়াতী কিংবা বিনা দাওয়াতী। বর্তমানে ঢাকার বেশকিছু হোটেলে মেজবানী মাংশ রান্না হয়। গরম ভাতের সাথে মেজবানী মাংশ লন্ডন কিংবা আমেরিকাতেও চলে গেছে।
খুলনার চুইঝাল মাংশ
খুলনার চুইঝাল মাংশ

খুলনার চুইঝাল মাংশ
ছুইঝাল দিয়ে রান্না করা মাংশের এতই জোশ যে, খুলনায় বেড়াতে গেলে কেউ এটা না খেয়ে ফেরে না। আর যারা যেতে পারেন না। তাদের জন্য ঢাকার সৌখিন রেস্টুরেন্টগুলো যত্ন করেই রান্না করে ছুইঝাল মাংশ। খুলনা সাতখিরা বাগেরহাটে পাওয়া যায় চুইগাছ। কাটিং থেকে নতুন চারাবের হলে তা কোন ফল বা কাঠ গাছে দিয়ে দিলে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে। চুই লতাজাতীয় গাছ, তাই আম, জাম, সুপারি, নারকেল ইত্যাদি গাছেরগোড়ায় এটি রোপণ করা হয়। এক বছর বয়সী চুই খাওয়া যায়, তবে ৫-৬ বছরের চুই উত্তম। আম, শিমুল গাছের সাথে ভাল ফল পাওয়া গেছে। mসাধারণত আম, সুপারিসহ কাঠ জাতীয় গাছের গোড়া থেকে ১২-১৫ ইঞ্চি দূরে গর্ত করে চুই গাছের কাটিং লাগান হয়। শুধুমাত্র চুইঝাল দিয়েখাসির মাংসের কারণে খুলনার চুকনগরের রেস্টুরেন্ট এর সুখ্যাতি রয়েছে সারা দেশে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!