পানির সন্ধানে চাঁদে রোবট পাঠাচ্ছে নাসা!
নাসার ‘ভোলাটাইলস ইনভেস্টিগেসন পোলার এক্সপ্লোরেশন রোভার’ বা ভাইপার- হ’ল একটি মোবাইল রোবট যা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পানির বরফের সন্ধানে ঘুরে বেড়াবে। চাঁদের পৃষ্ঠের কোথায় পানি রয়েছে, তার পরিমাণ এবং মানুষের ব্যবহারের জন্য তা যথেষ্ট কিনা- তার বিশদ বিবরণ দিবে ভাইপার মিশন । এই গবেষণা চাঁদে মানবজাতির টেকসই, দীর্ঘমেয়াদী উপস্থিতির জন্য মূল লক্ষ্যে বা উচ্চাকাঙ্ক্ষার কাছাকাছি নিয়ে আসবে নাসাকে – যা শেষ পর্যন্ত মঙ্গল গ্রহে এবং এর বাইরেও অন্বেষণ করা সম্ভব করে তুলবে।
চাঁদে পানি সন্ধানে বিশেষ রোবট পাঠাতে চলেছে নাসা। ২০২২ সালে চন্দ্রাভিযানের এমনই পরিকল্পনা নিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। নাসার বিজ্ঞান মিশন অধিদপ্তর দ্বারা পরিচালিত চন্দ্র আবিষ্কার ও অন্বেষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালিত হবে।
২০২৪ সালে নভোচরদের চাঁদের মাটিতে পাঠানোর পূর্ব পরিকল্পনা ছিল নাসার। তবে তার দু’বছর আগেই চন্দ্রপৃষ্ঠের তলা থেকে পানি খুঁজতে রোবট পাঠানোর কথা ঘোষণা করা হল।
নাসা জানিয়েছে, ২০২২ সালে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার কথা এই ভাইপার রোবটের। পানির প্রধান উপাদান হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের অস্তিত্ব খুঁজে পেতে এবং চন্দ্রপৃষ্ঠের মাটির নমুনা সংগ্রহের জন্য চারটি যন্ত্র-ও নিয়ে যাবে ভাইপার।
হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এই দু’টি উপাদান ব্যবহার করে নভােযান ‘লুনার লঞ্চ ভেহিকেল’-এর জন্যও জ্বালানি তৈরি সম্ভব। সে হিসেব ধরে নেয়া হচ্ছে, ২০২২-এর চন্দ্রাভিযান সফল হলে পরবর্তীতে চাঁদকে উৎক্ষেপণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে মঙ্গল অভিযানের চেষ্টা করবে নাসা।
ভাইপার প্রায় ১০০ দিন ডাটা সংগ্রহ করবে, যা চাঁদের প্রথম বৈশ্বিক জল সংস্থান মানচিত্রকে অবহিত করতে ব্যবহৃত হবে।
“চাঁদে বাস করার মূল চাবিকাঠি হচ্ছে পানি-যেমনটি পৃথিবীতেও রয়েছে”- বলেছেন, ভাইপার মিশনের প্রকল্প পরিচালক এবং সিলিকন ভ্যালির নাসার এমস রিসার্চ সেন্টারে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরিচালক ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ ।
তিনি বলেন “যেহেতু দশ বছর আগে চাঁদে পানি-বরফের নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে, এখন জানান বিষয় সেখানে বাস করতে কিংবা বাঁচতে মানবজাতির জন্য পানির সংস্থান কতটুকু। এই রোভারটি আমাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে সহায়তা করবে। চাঁদে পানি কোথায় এবং আমাদের ব্যবহারের জন্য কতটা আছে সেসব অজানা বিষয়। ”
নাসা বলছে, তাদের আর্টেমিস প্রোগ্রামটি শুরু হয়েছে একটি নতুন যুগের সুচনার লক্ষ্যে যেখানে রোবট এবং মানুষ একসাথে কাজ করে দেখিয়ে দিবে মহাকাশ অনুসন্ধানে সম্ভব কিনা।