বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা খুলে দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পর বুধবার থেকে হোটেল-মোটেলসহ অন্যান্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান উন্মুক্ত করার ঘোষণা দেয়া পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন। করোনা সংক্রমণ রোধে গত ১৮ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় কুয়াকাটা।
খোলার পর থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সংক্রমণ রোধে কার্যকর উপকরণ এবং প্রশিক্ষণ নিয়ে পর্যটকদের সেবা দেওয়া শুরু করেছে কুয়াকাটার দুই শতাধিক হোটেল-মোটেল এবং সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
সমুদ্র সৈকত লাগায়ো জাতীয় উদ্যানের ঝাউবন, তালবাগান, লেম্পুচরসহ অন্যান্য বনাঞ্চলের বিভিন্ন পয়েন্টে কলাপাড়ার আশপাশ থেকে আসা কিছু পর্যটক ঘুরে বেড়িয়েছেন। স্থানীয় আবাসিক হোটেল-মোটেল, খাবার হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারীরা সামান্য বিকিকিনিতে ব্যস্ত। বিভিন্ন আবাসিক এবং খাবার হেটেলের প্রবেশদ্বারে, পর্যটক বহনকারী যানবাহনে ভাইরাস ধ্বংসের সামগ্রী রাখা হয়েছে।
কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতসংলগ্ন ট্যুরিস্ট বোর্ড অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কে এম বাচ্চু স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, তিন মাস পর কুয়াকাটা লকডাউন তুলে নেওয়ায় আমরা খুশি হয়েছি। কিন্তু আজ প্রথম দিন তেমন পর্যটক না এলেও আমরা পর্যটকদের ভ্রমণ করানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’
একটি রিসোর্টের জেনারেল ম্যানেজার ফয়সাল মাহমুদ বলেন, “আমাদের রিসোর্ট এবং ভিলাগুলো সাবধানতার সঙ্গে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং জীবাণুমুক্ত রাখা হচ্ছে।”
https://www.facebook.com/groups/207179976858381/wp/1067571493640219/?av=100006013661677