দুবাইয়ের ‘কোরআন পার্ক’ : সব ধর্মের মানুষের জন্য

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ‘কোরআন পার্ক’। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআনে বর্ণিত বিভিন্ন উদ্ভিদ এবং অলৌকিক মহিমা-ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে গেল শুক্রবার (৩০ মার্চ) চালু হওয়া পার্কটিতে। সাথে আছে নির্মল বিনোদন আয়োজন মুসলামরাই শুধু নয় সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ এই ব্যতিক্রমী পার্ক দেখতে পারবেন। তাও আবার বিনা পয়সায়। দর্শনার্থীদের জন্য কোন ফি বা টিকেট লাগবে না। বিনামূল্যেই প্রবেশে করতে পারবেন । মূলত ইসলাম ধর্ম ছাড়াও অন্যান্য ধর্মানুসারী ও সংস্কৃতির মানুষদের কাছে কোরআনের সৌন্দর্য ও অলৌকিকতা উপস্থাপনের জন্যই এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

দুবাইয়ের ‘কোরআন পার্ক’ : সব ধর্মের মানুষের জন্য 1
পার্কে কোরআনে বর্ণিত গাছ

দুবাই মিউনিসিপ্যালিটির উদ্যোগে আল খাওয়ানিজ অঞ্চলের ৬০ হেক্টর ও ৬ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে গড়ে তােলা হয়েছে পার্কটি । ২০১৩ সালে শুরু হওয়া পার্কটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৭৫ লাখ ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ৫৮ কোটি টাকা)। তবে শেষপর্যন্ত খরচ অনেক বেড়েছে বলে জানা গেলেও এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য জানা যায়নি।

কোরআনে বর্ণিত গাছের পেইটিং

কোরআনে যেসব গাছ-গাছালি ও জীব-বৈচিত্র্যের কথা উল্লেখ আছে, তার সবই পার্কটিতে রয়েছে। কোরআনে বর্ণিত অলৌকিক ঘটনাবলির চিত্রায়নও করেছে চিত্তাকর্ষকভাবে। এ প্রসঙ্গে দুবাই মিউনিসিপ্যালিটির মহাপরিচালক দাউদ আবদুর রহমান আল-হাজিরি খালিজ টাইমসকে বলেন, পবিত্র কোরআনে মোট ৫৪টি উদ্ভিদের কথা বর্ণিত হয়েছে। কোরআন পার্কে সেসব উদ্ভিদের বাগান রয়েছে। এসব উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক ও ঔষধি উপকারিতা এবং ব্যবহার সম্পর্কে চমৎকার আয়োজন রয়েছে। উদ্ভিদগুলোর মধ্যে যেগুলো পাওয়া যাবে, তা পার্কে রাখা হবে। অন্যান্য উদ্ভিদ লাগানো হবে বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট বাগানে।

দুবাইয়ের ‘কোরআন পার্ক’ : সব ধর্মের মানুষের জন্য 2
কোরআন পার্কের প্রধান ফটক

কাচের হাউস এই পার্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ও আকর্ষণ উল্লেখ তিনি বলেন, এর ভেতরে কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত উদ্ভিদগুলো বিশেষ তাপমাত্রা এবং পরিবেশগত বিশেষ নির্ণায়ক যন্ত্রের অধীনে বেড়ে ওঠবে। পাশাপাশি এতে কোরআনে উল্লিখিত বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদও স্থান পেয়েছে।

Travelion – Mobile

পার্কটির অন্যতম আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ‘অলৌকিক গুহা’। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত গুহার আদলে এটি সাজানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তবে দক্ষিণ স্পেনের ‘আল-আন্দালুস’ বাগানের রূপ-শৈলীতে নির্মাণ করা হয়েছে। দর্শনার্থীরা এই গুহায় পবিত্র কোরআনের অলৌকিক ঘটনাবলীর সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। এতে পবিত্র কোরআনের অলৌকিক বিষয়গুলো প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে।

‘অলৌকিক গুহা’

এছাড়াও পার্কটিতে দৃষ্টিনন্দন বাগান, শিশু কর্নার, আউটডোর থিয়েটার, ঝরনা, গ্লাস বিল্ডিং, মরূদ্যান, লেক, রানিং ট্রেক, সাইকেল ট্রেকসহ রয়েছে নানা আয়োজন রয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। আছে ওয়াই-ফাই সিস্টেম, মোবাইল ফোন চার্জিং স্টেশন, বিশ্রামের জন্য ছায়াযুক্ত আসন।

পার্ক কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা, চিকিৎসা ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কোরআনে উল্লেখিত সব অলৌকিক বিষয়ের অর্থ ও ব্যাখ্যা জানার জন্য ‘কোরআন পার্ক’ একটি দারুণ মাধ্যম হবে। এখানে গাছ ও বৃক্ষের উপকারিতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং বিজ্ঞানের এত উন্নতির পরও কোরআনের উল্লিখিত বৃক্ষের প্রতি তারা কত বেশি নির্ভরশীল তা বলা হয়েছে।

পার্ক কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা, চিকিৎসা ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কোরআনে উল্লেখিত সব অলৌকিক বিষয়ের অর্থ ও ব্যাখ্যা জানার জন্য ‘কোরআন পার্ক’ একটি দারুণ মাধ্যম হবে। এখানে গাছ ও বৃক্ষের উপকারিতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এবং বিজ্ঞানের এত উন্নতির পরও কোরআনের উল্লিখিত বৃক্ষের প্রতি তারা কত বেশি নির্ভরশীল তা বলা হয়েছে।

খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন অবলম্বনে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!