চট্টগ্রাম-মাস্কাট রুটে সপ্তাহে প্রতিদিন ওমান এয়ার

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের জাতীয় বিমানসংস্থা ওমান এয়ার মাস্কাট-চট্টগ্রাম-চট্টগ্রাম রুটে সপ্তাহে সাতটি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এই রুটে দেশি-বিদেশি চারটি বিমান সংস্থা সপ্তাহে ১৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এর মধ্যে ওমান এয়ারের ফ্লাইট ও যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি। আগামীতে আরো ফ্লাইট বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বিমানসংস্থাটির।

ওমান এয়ার ঢাকা-মাসকাট রুটে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে অথচ চট্টগ্রাম থেকেই সাতটি ফ্লাইট চালাচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে ১৬৮ আসনের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ দিয়েই যাত্রী পরিবহন করে; কিন্তু তাদের যাত্রী চাহিদা এত বেশি যে সপ্তাহে অন্তত দুটি ফ্লাইট সুপরিসর বিলাসবহুল ৭৮৭ ড্রিমলাইনার দিয়েই যাত্রী পরিবহন করছে। যার যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা ২৬৮ জন।

গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের পেনিনসুলা হোটেলে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপে এই সব পরিকল্পনার কথা জানান ওমান এয়ারের রিজিওনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট সুনীল ভা।

Travelion – Mobile

তিনি বলেন,’চট্টগ্রাম থেকেই আমরা সর্বোচ্চ যাত্রী পরিবহন করছি। আমাদের যাত্রীদের বেশির ভাগই চট্টগ্রামের প্রবাসী, যারা ওমানে কর্মরত আছেন বা কাজের জন্য যাচ্ছেন। এর বাইরে প্রচুর ট্রানজিট যাত্রী পাচ্ছি, যারা মাসকাট হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন। যাত্রী চাহিদা বাড়ায় আমরা শিগগিরই ফ্লাইট সংখ্যা বাড়াব। একই সাথে ড্রিমলাইনারের মতো বড় উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনার চিন্তা আছে।’

চট্টগ্রামের অবকাঠামো উন্নয়নের প্রশংসা করে সুনীল ভা বলেন, এসব প্রকল্প চালু হলে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে। প্রচুর দেশি-বিদেশি যাত্রী চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ব্যবহার করব। একই সাথে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালুর বিষয়টি আমাদের নজরে আছে।’

Diamond-Cement-mobile

ওমান এয়ারের বাংলাদেশের জিএসএ (জেনারেল সেলস এজেন্ট) ‘এয়ার গ্যালাক্সি’ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও সিইও আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ বলেন, ‘চট্টগ্রামের যাত্রীদের বেশির ভাগই ওমান এয়ারকে বেছে নিয়েছে―প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা তার বড় উদাহরণ। আমরা সেই আস্থা ধরে রেখে ফ্লাইট বাড়াতে চাই। এ জন্য আমরা সব সময় প্রতিযোগিতামূলক ভাড়া দিই। ‘

অনুষ্ঠানে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রাম সভাপতি শাহ আলম, ওমান এয়ারের সিনিয়র সেলস ম্যানেজার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, চট্টগ্রাম ইনচার্জ মো. আসিফ চৌধুরী, সহকারী ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট অপারেশন) সুমিত বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে মাস্কাট রুটে সপ্তাহে যাতায়াত করা ১৮টি ফ্লাইটের মধ্যে সর্বোচ্চ সাতটি ফ্লাইট ওমান এয়ারের। পাঁচটি ফ্লাইট ওমানের বাজেট এয়ারলাইন্স সালাম এয়ারের। অন্যদিকে রাষ্ট্রয়াত্ব বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও বেসরকারি ইউএস-বাংলা সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট চালাচ্ছে ।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালক উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন খান বলেন,’যাত্রী বাড়লে ওমান এয়ার ড্রিমলাইনার দিয়ে যাত্রী পরিবহন করে। চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে শুধু বাংলাদেশ বিমানই ড্রিমলাইনার দিয়ে দুবাই, আবুধাবি, জেদ্দায় যাত্রী পরিবহন করে থাকে। বিদেশি বিমানসংস্থার মধ্যে ওমান এয়ারই একমাত্র সংস্থা যারা ড্রিমলাইনার দিয়ে যাত্রী পরিবহন করছে। যাত্রী চাহিদা বাড়লে বাড়তি ফ্লাইট অনুমোদন দিতে আমরা প্রস্তুত।’

YouTube video

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!