চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা শুরু
দেশে-বিদেশে ভ্রমণের নানা দিক তুলে ধরতে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা ২০১৯। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম নগরের দি পেনিনসুলা হোটেলে তিনদিনের মেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি-বাই টিকেটসের স্পন্সরে ভ্রমণ বিষয়ক পাক্ষিক দ্য বাংলাদেশ মনিটর আয়োজিত পর্যটন মেলায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী ২০টিরও বেশি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
এর মধ্যে উল্লেযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, এয়ার এরাবিয়া, ওসেন প্যারাডাইজ হোটেল, ব্যাংকক হাসপাতাল, মালয়েশিয়া ট্যুরিজম, কসমস হলিডে, বামরুনগ্রাদ হাসপাতাল, এশিয়ান হেলথকেয়ার, গ্রোট্রিপ, সিএম ইন্টারন্যাশানাল ইমিগ্রেসন সার্ভিস, ইউনাইটেড কলেজ অব এভিয়েশন, সাইন্স এন্ড ম্যানেজম্যান্ট ।
এয়ার এরাবিয়ার প্যাভিলিয়ন ও এশিয়ান টুরিজমের স্টল (নিচে)
দর্শনার্থীদের জন্য এয়ার টিকেট, ট্যুর প্যাকেজ, হোটেল রুম প্রভৃতির ক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যছাড় অফার দিচ্ছে অংশ নেয়া সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। শনিবার (২৬ অক্টোবর) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পর্যটন মেলা সবার জন্য খোলা থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যটন খাতকে সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। সেজন্য পর্যটনশিল্পের বিকাশে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সে আলোকেও চট্টগ্রাম নগরকে বিশ্বমানের শহর গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সিটি করপোরেশন। চট্টগ্রামে দৃশ্যমান পরিবর্তন হচ্ছে। সড়ক, আইল্যান্ড, মিডিয়ান, মিড-আইল্যান্ডের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বলা হয় চট্টগ্রামে দেখার অনেক কিছু আছে। এয়ারলাইন্সগুলোকে চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্পের প্রচার- প্রসারে এগিয়ে আসতে হবে। বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে হবে। কানেকটিভিটি যত দ্রুততর করা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে।
বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, সিলেট ও চট্টগ্রামে ইকো ট্যুরিজম, রিলিজিয়ন ট্যুরিজমের বড় সুযোগ রয়েছে। চট্টগ্রাম-সিলেট ফ্লাইট দরকার। কানেকটিভিটি না থাকলে পর্যটন খাতের ডেভলপমেন্ট হবে না। দেশের উন্নয়নে ট্যুরিজম বড় ভূমিকা রাখবে।
মেলার আয়ােজক দ্য বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, চট্টগ্রামকে বলা হয় পর্যটনের রাজধানী। কিন্তু চট্টগ্রামকে বিশ্ববাজারে তুলে ধরার জন্য সরকারিভাবে যা করা দরকার তা হচ্ছে না। আমরা ১২ বছর ধরে চেষ্টা করছি বেসরকারিভাবে এ খাতকে এগিয়ে নিতে।
চট্টগ্রাম অঞ্চেল যে পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে তা তুলে ধরা গেলে বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করা সম্ভব। আমরা চাই- ভারত, সিঙ্গাপুরসহ যেখানে বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট অপারেশন করে সেখানে পর্যটনকে প্রমোট করতে হবে। চট্টগ্রামে এখন হোটেল মোটেল থেকে শুরু করে সবকিছুই আছে।
রিজেন্ট এয়ারওয়েজের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার হানিফ জাকারিয়া বলেন, ২০০৫ সাল থেকে দেশের সব ট্রাভেল ফেয়ারে অংশ নিয়েছি। রিজেন্ট এয়ারওয়েজ নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। চট্টগ্রাম-ব্যাংকক ফ্লাইট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছি। এটিসহ চট্টগ্রাম থেকে নতুন নতুন আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই দেশের পর্যটন শিল্পের ব্রান্ডিং করতে। চট্টগ্রাম-ঢাকা ১০টি ফ্লাইট অপারেট করছি। আমাদের হলিডেস বিভাগের মাধ্যমে বিদেশিদের আনছি। আমরা উদ্বুদ্ধ করছি। সরকার যেভাবে পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করছে তাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষ জায়গা দখল করবে।
এয়ার এরাবিয়ার কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মুবিন রশীদ বলেন, এয়ার এরাবিয়া বিশ্বাস করে ইনোভেশনে। স্কাই টাইমে যাত্রীদের নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। । আমি মনে করি, বাংলাদেশ ট্যুরিজমে সমৃদ্ধি অর্জন করছে।
তিনি জানান, সিলেট-চট্টগ্রাম, সিলেট-কক্সবাজার ফ্লাইট আগামী বছর চালু হবে। যশোর থেকে চট্টগ্রাম ফ্লাইট অপারেশনের পরিকল্পনা রয়েছে।