মিশরপ্রবাসীদের সরাসরি যাতায়াতের স্বপ্নপূরন কতদূর?

দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত শুনে আসছি কায়রো- ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট চালুর কথা। অনেক আগে বাংলাদেশ বিমানের প্রতিনিধিদল মিসর এসে ঢাকা-কায়রো-ঢাকা ফ্লাইট চলাচলের ঘোষণা দিয়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু সে ঘোষণা আর বাস্বতাবতার মূখ দেখেনি।

অবশেষে জাতীয় মিশরের পতাকাবাহী ইজিপ্ট এয়ারকে নিয়ে কায়রো- ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট চালু করতে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশের অ্যালো অ্যাভিয়েশন। গত বছরের আগস্টে মিশরে বাংলাদেশ দুতাবাসের মধ্যস্থতায় ইজিপ্ট এয়ার ও বাংলাদেশের অ্যালো অ্যাভিয়েশনের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার চুক্তিতে স্বাক্ষর হয়।

প্রাথমিকভাবে ১ নভেম্বর থেকে সপ্তাহে দুটি পরিচালনার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দেওয়া হয়। কিন্তু পরে বিভিন্ন জটিলতার কারণে কায়রো-ঢাকা ফ্লাইট ঘোষিত সময়ে চালু করা সম্ভব হয়ে উঠেনি।

Travelion – Mobile

গত সপ্তাহে রাজধানী কায়রোর হোটেল শেরাটনে প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের উপস্থিতিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে মিশরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম ও অ্যালো অ্যাভিয়েশনের সিইও সাঈদ আলী শামী যৌথভাবে ঢাকা-কায়রো সরাসরি ফ্লাইটের উদ্বোধনী ঘোষণা দিয়ে কেক কাটেন।

কায়রোয় বাংলা নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে  ঢাকা-কায়রো সরাসরি ফ্লাইটের উদ্বোধনী ঘোষণা দিয়ে কেক কেক কাটেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম ও অ্যালো অ্যাভিয়েশনের সিইও সাঈদ আলী শামী ।
কায়রোয় বাংলা নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে ঢাকা-কায়রো সরাসরি ফ্লাইটের উদ্বোধনী ঘোষণা দিয়ে কেক কেক কাটেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম ও অ্যালো অ্যাভিয়েশনের সিইও সাঈদ আলী শামী ।

অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে আমার সাথে কথা হয় ইজিপ্ট ইয়ারের সিইও অ্যালো অ্যাভিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ আল শামীর সাথে। তিনি পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে না হলেও ঈদের পরপরেই কায়রো -ঢাকা ফ্লাইট চালুর প্রত্যাশার কথা জানান ।

তিনি বলেন,”আমি এবং আমার কোম্পানি সবসময় দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি কিভাবে দেশের পর্যটন ও এভিয়েশন খাতকে এগিয়ে নেওয়া যায়। আমরা চাই মিশরের সাথে আমাদের সম্পর্ক আরো গভীর হোক। তা রই অংশ হিসেবে ঢাকা-কায়রো সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি এবং ঈদুল ফিতরের পরই আমরা ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারব বলে আশা করছি।

“তা ছাড়া আমরা কানেক্টিং ফ্লাইট হিসেবে ওয়াশিংটন ডিসি, নিউ ইয়র্ক, টরেন্টো, ফ্রান্স, ইতালি ছাড়াও আমরা ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশকে সংযুক্ত করতে সক্ষম হবো”, সাঈদ আল শামী যোগ করেন।

রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম বলেন, মিশরপ্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘ দিনের লালিত একটি স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে সত্যিই অন্য রকম এক অনুভূতি কাজ করছে আমার ভিতর। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন ও পর্যটন খাতে বিদেশী পর্যটকদের আরো আকর্ষিত করতে সম্ভব হবে এবং সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচবে।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মিশরের পর্যটন উপমন্ত্রী গাদা আল-শাহালবি স্বাধীনতার পর থেকে মিসর বাংলাদেশের অটুট সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের সাথে শুধু ফ্লাইট নয়, কিভাবে সাংস্কৃতিক বিনিময় করা যায় এ নিয়েও আমরা কাজ করছি।

মিশরের অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে, কায়রো ঢাকা সরাসরি ফ্লাইটটি চালু হলে মাত্র ৭ ঘন্টায় প্রিয় জন্মভুমি বাংলাদেশে যাওয়ার।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!