মালয়েশিয়ায় মানবপাচারে সহায়তায় অভিবাসন কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

মালয়েশিয়ায় মানবপাচারে সহায়তার অভিযোগে দেশটির বিমানবন্দরের নিয়োজিত একজন অভিবাসন কর্মকর্তা গ্রেফতার করা হয়েছে। ৬ বিদেশি নাগরিককে বৈধ নথি ছাড়াই মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সহায়তার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

দেশটির অভিবাসন বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মানবপাচারের একটি সিন্ডিকেট বৈধ নথি ছাড়াই ৬ ভারতীয় নাগরিককে দেশে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। তাদের গ্রেপ্তার হলে তদন্তে অভিবাসন কর্মকর্তার নাম ওঠে আসে।

মালয়েশিয়ার সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

Travelion – Mobile

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি খাইরুল জাইমি দাউদ বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ৬ ভারতীয় নাগরিককেও গতকাল সন্ধ্যা ৭.৪৫ মিনিটে গ্রেপ্তার করা হয়।

‘২০ থেকে ৪২ বছর বয়সী ছয় ভারতীয় নাগরিক লেভি পেমেন্ট এড়াতে বৈধ পাসপোর্ট ছাড়াই কাজ করার জন্য মালয়েশিযায় প্রবেশের চেষ্টা করছিল’।

মহাপরিচালক বলেন,’সিন্ডিকেটের কাজ ছিল পর্যটক হিসেবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য তাদের ভুয়া ই-ভিসা দেওয়া। কিছু অর্থের বিনিময়ে সিন্ডিকেট আবাসন সুবিধা, ট্যুর প্রোগ্রাম এবং প্রকৃত পর্যটক হিসেবে দেখানোর ব্যবস্থা করে দেয়’।

পরিচালক বলেন,’৩১ বছর বয়সী অভিবাসন কর্মকর্তা মাইআইএমএম সিস্টেমে বিদেশিদের ভ্রমণ রেকর্ড না করেই পাসপোর্টে স্ট্যাম্প লাগিয়ে সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণিত হয়েছে’।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, সিন্ডিকেটটি গত এপ্রিল থেকে কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতি বিদেশি (দর্শনার্থীর) কাছ থেকে ৫,০০০ থেকে ৬,০০০ হাজার রিঙ্গিত চার্জ নেওয়া হয়।

‘মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করার জন্য অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬-এর অধীনে গ্রেফতারকৃত বিদেশীকে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া ২০০৭ রিমান্ডের আদেশ প্রাপ্তির পর অভিবাসন কর্মকর্তা ব্যক্তিদের পাচার বিরোধী এবং অভিবাসীদের চোরাচালান বিরোধী আইনের ২৬এ ধারায় তদন্ত করা হবে।

মালয়েশিয়ার সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জানিয়েছেন,’ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট কোনো পক্ষের সাথে আপস করবে না যদিও এতে অভিবাসন কর্মকর্তারাও জড়িত থাকে।

‘যারা দোষী প্রমাণিত হবে তারা প্রাসঙ্গিক আইনের অধীনে উপযুক্ত শাস্তি পাবে’।

চোরাচালান ও মানবপাচার মোকাবেলায় বুদ্ধিমত্তা ও অপারেশনাল প্রচেষ্টা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে অভিবাসন বিভাগ, মহাপরিচালক জানান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!