মদ্যপানে করোনা নিরাময়, ২৭ জনের মৃত্যু ইরানে

মদ পানে করোনভাইরাস নিরাময় হবে এমন গুজব ছড়িয়ে যাওয়ার পরে সোমবার ইরানে মিথানল সমৃদ্ধ বিষাক্ত মদ্যপানে বিষক্রিয়াজনিত কারণে কমপক্ষে ২৭ জন মৃত্যু হয়েছে ।

ইসলামী প্রজাতন্ত্রের ইরান করোনাভাইরাস প্রাদূর্ভাবে চীনের বাইরে সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ একটি দেশ। করোনা প্রচণ্ড ঝাঁকুনি খেয়েছে ইরান, যা দেশের ৩১ টি প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং এ পর্যন্ত ২৩৭ জন নিহত এবং ৭,১৬১ জন আক্রান্ত হয়েছে।

মদপানে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি কমে এমন অনলাইন তথ্যের ভিত্তিতে ইরানের নাগরিকরা বেশি করে মদ্যপান শুরু করেছেন। ফলে বিষাক্ত এলকোহল সেবনের কারণে অনেক রোগীর মৃত্যু হচ্ছে দেশটিতে।

Travelion – Mobile

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খুজেস্তানে ২০ জন এবং উত্তর অঞ্চল আলবার্জে ৭ জন চোলাই মদ্যপানে বিষক্রিয়ায় মারা যান।

খুজেস্তানের রাজধানী আহওয়াজে জুনদিশাপুর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, বিষাক্ত হওয়ার পরে সেখানে ২১৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “মদ পান করোনোভাইরাস চিকিত্সায় কার্যকর হতে পারে” এমন গুজবে এইসব মানুষ বিষাক্ত মদ পান করেছিলেন।”

আলবার্জের ডেপুটি প্রসিকিউটর মোহাম্মদ অঘায়ারি আইআরএনএকে বলেছেন,”তারা অনলাইন গুজবে বিভ্রান্ত হন, ভেবেছিলেন মদ খেলে করোনভাইরাস নিরাময় হবে এবং পরে তারা মিথেনল পান করেছিলেন।”

মিথানল যদি প্রচুর পরিমাণে পান করা হয় তবে অন্ধত্ব, লিভারের ক্ষতি এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

রাজধানী তেহরানের এক হাসপাতালের কর্মকর্তা বলেছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে হাসপাতালে বিষাক্ত মদ্যপান পানে অসুস্থ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মদ্য
শাহিন শাদনিয়া নামের ওই কর্মকর্তা ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহের নিউজকে বলেছিলেন যে, কিছু ক্ষেত্রে মিথানল সমৃদ্ধ বিষাক্ত মদ্ পানে রোগীদের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে কিছু অমুসলিম ধর্মীয় সংখ্যালঘু ব্যতীত প্রত্যেকের জন্য ইরানে মদ্য পান নিষিদ্ধ। ১৯৭৯ সালে অ্যালকোহলিক স্পিরিট, ওয়াইন এবং বিয়ার পান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তবুও দেশটির অনেক লোক নিয়মিত ভদকা এবং অন্যান্য মদ পান করে থাকেন। তারা এগুলো বাড়িতে কিংবা গোপনে পান করে থাকেন। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলি প্রায়শ বিষাক্ত চোলাই মদে মারাত্মক ঘটনা সম্পর্কে খবর দেয়।

রবিবার পর্যন্ত খুজেস্তানে করোনভাইরাস সংক্রমণে ৬৯ জনের মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!