ভারতে এয়ারএশিয়ার ডোর-টু-ডোর ব্যাগেজ সার্ভিস

যাত্রীদের ব্যাগেজ পরিবহনকে নিরবিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া তাদের নতুন “এয়ার এশিয়া ফ্লাইপোর্টার” সেবা চালু করেছে। এই সেবার আওতায় ভারতের তিনটি প্রধান শহরে বসবাসকারী যাত্রীরা এখন তাদের ব্যাগেজগুলো এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে গন্তব্য পৌছে দেয়া এবং গন্তব্যে থেকে নিয়ে যাওয়ার সুবিধা পাবেন। মহামারীর সময়ে এই সেবা কতটুকু সহায়ক হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

বিমান সংস্থাটি তার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নতুন ফ্লাইপোর্টার সার্ভিস ব্যাগেজ পরিবহনকে অত্যন্ত সহজ করে তুলবে। এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়ার সেবা নেয়া যাত্রীরা ফ্লাইপোর্টার ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের বিস্তারিত তথ্য এবং পিএনআর প্রবেশ করে ব্যাগেজের জন্য একটি পিক আপ আর ড্রপিং পয়েন্ট নির্ধারণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তারা কেবল পিক আপ বা ড্রপিং যে কোন একটা সেবাও বেছে নেয়ার সুযোগ পাবেন।

এই সেবার প্রাথমিক অফার হিসেবে, এয়ারলাইন্স ওয়ানওয়ে ব্যাগেজ পরিবহন সেবার জন্য ৫০০ রুপি নির্ধারণ করেছে। যাত্রীদের ব্যাগ বা ভেতরের জিনিসপত্রের কোন ক্ষতি এড়াতে এই সার্ভিস ৫০০০ রুপির একটি বীমা পলিসিও ঘোষণা করেছে (তাই খুব দামী কিছু ব্যাগেজে প্যাক করবেন না!)। সবাই বলছে এই সেবার মূল্য আরও কমালে তা আরও আকর্ষণীয় হতে পারে, যদিও এখনও এটা দেখার বিষয় যে শেষমেশ এই সেবার চূড়ান্ত মূল্য কি হয়।

Travelion – Mobile

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে এই সেবা ভারতের তিনটি জায়গায় চালু করা হয়েছে: ব্যাঙ্গালোর, হায়দ্রাবাদ, এবং নয়া দিল্লি-এনসিআর (নয়ডা এবং গুরগাঁও সহ)। এই শহরগুলোকে প্রাথমিকভাবে বেছে নেয়া হলেও মুম্বাইকে পরবর্তীতে যোগ করা হবে। এই সীমিত পর্যায়ের সেবা প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে সাহায্য করবে। পরবর্তীতে এর উপর ভিত্তি করে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়ার বাকি গন্তব্যে এটি সম্প্রসারণ করা হবে।

তবে এই সেবা নির্বিঘ্ন না হওয়া কথা উঠেছে। কারণ এই সেবার আওতায় চেক ইন সেবা দিবে না এয়ারলাইন্স। এর মানে হল টার্মিনালে ঢোকার আগে আপনার ব্যাগেজ আপনার হাতে তুলে দিবে কার্টারএক্স এবং তারপর বিমানবন্দরে আপনাকে নিজ থেকে চেক-ইনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে। একইভাবে, গন্তব্যে আসার পর যাত্রীরা ব্যাগেজ বেল্ট থেকে তাদের ব্যাগ তুলে তা নির্দিষ্ট গন্তব্যে ডেলিভারির জন্য কার্টারএক্স দলের হাতে তুলে দেবে। এর মানে এই যে প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি নিরবচ্ছিন্ন নয়, তবে যদিও তা ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন করার চিন্তাভাবনা হচ্ছে।

বর্তমানে এই মহামারির সময়ে এই নতুন সেবায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে পরিচ্ছন্নতা এবং জীবাণুমুক্ত সেবা। এক্ষেত্রে এয়ার এশিয়া সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করছে। বিমান সংস্থাটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ব্যাগেজ সেবাকে নিরাপদ করতে অনেক পদক্ষেপের উপর জোর দিয়েছে তারা। সেখানে বলা হয়েছে,সকল ব্যাগেজ পরিষ্কার করা হবে এবং দুই স্তরের প্যাকিং উপকরণ ব্যবহার করা হবে। সবশেষে পিকআপ এবং ডেলিভারিতে কোন ব্যাক্তির সংস্পর্শহীন হবে। বিমান সংস্থাটি আরো বলেছে যে সকল কর্মী পিপিই পরিধান করবে এবং পরিবহন যানবাহন জীবাণুমুক্ত করা হবে নিয়মিত।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!