বিজয় দিবস উপলক্ষে জার্মান বাংলা প্রেস ক্লাবের ভার্চুয়াল আলোচনা

পাহাড়সম ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে পদ্মাসেতু আজ দৃশ্যমান : ফারুক খান

জার্মানিতে দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ রোধে বুধবার থেকে জাতীয় লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। এরই প্রেক্ষিতে ৪৯ তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জার্মান বাংলা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে একটি ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রবিবার (২০ ডিসেম্বর) ডিসেম্বর জার্মান সময় সন্ধ্যায় আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানটিতে জার্মান প্রবাসী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক অংশ নেন।

জার্মান বাংলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনায় সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্ণেল (অব) ফারুক খান প্রধান অতিথি এবং জার্মানিতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্টদূত ও সাবেক সচিব মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া এনডিসি বিশেষ অতিথি হিসেব অংশ নেন।

Travelion – Mobile

জার্মান বাংলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি হাবিবউল্লাহ বাহারের উপস্থাপনায় ,অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ।

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কর্ণেল (অ.) ফারুক খান বলেন, এই বারের বিজয় দিবস বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ পাহাড়সম ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে আওয়ামী সরকার এই মাসে পদ্মাসেতু দৃশ্যমান করেছেন। এখন বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, বিশ্বের বিস্ময়। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম-আয় ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। গত ১০ ডিসেম্বর বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা বহুমুখী সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি স্থাপন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমাদের টার্গেট ছিল পদ্মা সেতু ২০১৪ সালের ভেতর শেষ করা,সে হিসেবে আমরা কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়। অবশেষে প্রমাণিত হয় তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেনসহ আমি নির্দোষ হয়।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, আমি যেখানে দায়িত্ব পেয়েছি সেখানে সততার সাথে কাজ করেছি।

আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানেই বাংলাদেশ। তাঁর সুযোগ্য কন্যা কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছু কিছু ক্ষেত্রে পিতাকেও ছাপিয়ে যাচ্ছেন ।

সভায়, দেশের উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশী, প্রবাসী সাংবাদিকদের অবদানের কথা স্বীকার করেন অতিথি বক্তরা।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত ও গান পরিবেশন করেন শিল্পী লুৎফর রহমান, শিল্পী লিপিকা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!