বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা

বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে বিমান চলাচলের পরিকল্পনা নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তবে এক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে বিমানসংস্থা ও বিমানবন্দরগুলোকে।

এই ব্যবস্থায় ৮ মে থেকে বিমান চলাচল শুরু প্রাথমিক পরিকল্পনা নিয়েছে বেবিচক। তবে দায়িত্বশীল সূত্রের মতে করোনা প্রস্তুতির উন্নতি আর প্রস্তুতিতে এই সময়ের মধ্যে শুরু করা নাও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ১৫ মে থেকে নতুন ডেডলাইন স্থির করা হতে পারে। সরকারে শীর্ষ পর্যায়ের অনুমতি সাপেক্ষে আগামীকাল রোববার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বেবিচক সূত্র জানিয়েছে।

করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চ থেকে দেশের সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রেখেছে বেবিচক। সময়সীমা কয়েক দফায় বাড়িয়ে আগামী ৭ মে করা হয়েছে। প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিমান সংস্থাগুলো। অন্যদিকে আয় কমে গেছে বেবিচকের। এই বাস্তবতায় সীমিত পরিসরে বিমান চলাচলের পরিকল্পনার দিকে যায় বেবিচক।

Travelion – Mobile

করোনাভাইরাসের সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে উড্ডয়ন ও অবতরণের পর সকল আসনসহ পুরো উড়োজাহাজ সংক্রমণমুক্ত করতে হবে। দূরত্ব বাজায় রাখতে অন্তত ৩০ শতাংশ আসন খালি রাখতে হবে। প্রত্যেকটা যাত্রীকে নতুন মাস্ক ও গ্লাভস সরবরাহ করতে হবে। ইনফ্লাইট খাওয়া-দাওয়া বন্ধ রাখতে হবে-এমন বেশ কিছু শর্তে আবারো অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যও বেবিচকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছেবিমানসংস্থাগুলো ও বিমানবন্দরগুলোকে ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেছেন তবে সবকিছুই নির্ভর করছে দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতির ওপর।

তিনি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা কালের কন্ঠকে বলেন, “এ জন্য বিমানবন্দর এবং বিমানসংস্থাগুলো কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের পাশাপাশি ফ্লাইটের সকল আসনে যাত্রী নেওয়া যাবে না। একটি ফ্লাইট উডডয়নের ৪৫ মিনিট পর পরবর্তী ফ্লাইটের যাত্রী আসবে। প্রত্যেকটি উড়োজাহাজ অবতরণের পর সংক্রমণমুক্ত করাসহ বেশ কিছু সুরক্ষা নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। এগুলো কিভাবে করতে হবে তার বিস্তারিত নীতিমালা আমরা করছি।”

আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় গন্তব্যই উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা জানিয়ে বেবিচকের প্রধান আরো বলেন, আন্তর্জাতিক গন্তব্যে যে সব দেশে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিবে কাংবা আমাদের বিশেষ অনুমতি দেবে সেই সব দেশে আমদের ফ্লাইট চালানা হবে। আগামীকাল রোববারের মধ্যে এটা চূড়ান্ত করবো। আমরা দেশীয় সকল বিমানসংস্থাকে প্রস্তুতি নিতে বলেছি।”

অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) সুত্রে জানা গেছে আভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনায় আগামী ৭ মে পর্যন্ত বেবিচকের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই ট্রাভেল এজেন্সিগুলো ৮ মে থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি করছেন। বিমানগুলোও তাদের টিকিট বিক্রি ও ফ্লাইট শিডিউল খোলা রেখেছেন। তবে সরকারি সিদ্ধান্তে ফ্লাইট বন্ধ থাকলে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!