বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়াতে চায় সৌদি আরব

বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের উত্তর সীমান্ত অঞ্চলের আরআর চেম্বার অব কমার্স। বুধবার (১৭ নভেম্বর) আরআরের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর বৈঠককালে চেম্বার সভাপতি নওয়াফ মাজাল আল দাইদি একথা জানান।

এসময় রাষ্ট্রদূত সৌদি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে তাদের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে উল্লেখ করেন। চলতি মাসের ২৮-২৯ বিডা কর্তৃক বাংলাদেশে আয়োজিত বিনিয়োগ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগদানের জন্য আরআরের ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সৌদি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের আওতায় বিনিয়োগ করতে পারেন। সম্প্রতি এ বিষয়ে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্বাক্ষরিত হওয়ায় এ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

Travelion – Mobile

আরআর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বিস্তারিত তথ্যসহ তাদের প্রোফাইল ব্যবসায়ীদের দেওয়ার অনুরোধ জানান। এসময় রাষ্ট্রদূত ও উত্তর সীমান্ত অঞ্চল প্রদেশের ব্যবসায়ীদের বিস্তারিত তথ্য দিতে অনুরোধ করেন যাতে দু’দেশের ব্যবসায়ীরা তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে।

ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে দেশ থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ, হস্তশিল্প, সিরামিক, তৈরি পোশাক ও চামড়াজাত পণ্য আমদানির জন্য ও ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেন।

সৌদি আরবের বাণিজ্যিক গোপনীয়তা বিরোধী আইনের বিষয় তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশি অভিবাসী ব্যবসায়ীরা তাদের নিবন্ধন করতে চেম্বারের সহযোগিতা কামনা করেন। চেম্বার সভাপতি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের তথ্য গোপন রাখা হবে এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

সকালে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী উত্তর সীমান্ত অঞ্চল প্রদেশের পুলিশ প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রিয়াদ বিন বদর আল হুজাইমির সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় রাষ্ট্রদূত যেসব বাংলাদেশি গৃহকর্মী তাদের গৃহকর্তাদের বাসা থেকে পালিয়ে আসে তাদের পুনরায় গৃহকর্তাদের কাছে ফেরত না দিয়ে সেফহোমে আশ্রয় দিয়ে দূতাবাসকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেন।

এছাড়া পাসপোর্ট বা ইকামার মেয়াদোত্তীর্ণ বাংলাদেশি অভিবাসীদের যেন গ্রেফতার না করা হয় সে ব্যাপারে পুলিশ প্রধানকে অনুরোধ করেন। পুলিশ প্রধান এসব বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস দেন।

গতকাল বিকেলে রাষ্ট্রদূত আরআর শহরে বসবাসরত স্থানীয় বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি অভিবাসীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন ও সমাধানের আশ্বাস দেন।

সভায় দূতাবাসের ইকোনমিক কাউন্সেলর মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান ও কাউন্সেলর মো. বেলাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!