নিউইয়র্কে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বাংলাদেশি কমিউনিটি

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে একেরপর এক হামলা, গোলাগুলি ও হতাহতের ঘটনায় নিরপত্তাহীনতায় ভুগছেন অনেকে। সেই সাথে গেল মাসে বা এর আগে নিউইয়র্ক সিটিতে ঘটছে হামলার ঘটনা । এতে সাধারণ জনমনে বিরাজ করছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা । আতংকে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশীিরা নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন নিউইয়র্কে ।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ জুন) দুপুরে নিউইয়র্কের কুইন্স ভিলেজে হলিস মুসলিম কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

নিউইয়র্ক সিটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা ‘পুলিশ-প্রশাসনের বিমাতাসুলভ আচরণের শিকার হচ্ছেন’ বলে অভিযোগ করেন সমাবেশের অন্যতম উদ্যোক্তা নিউ ইয়র্ক স্টেট এসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট-২৪ থেকে ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার প্রার্থী মাজেদা এ উদ্দিন।

Travelion – Mobile

তিনি জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ভোরে ওজোনপার্ক মসজিদ সংলগ্ন বাসার সামনে গাড়ি পার্ক করার পর দুর্বৃত্তের গুলিতে মারা যান খন্দকার মোদাচ্ছের (৩৬) নামে এক বাংলাদেশি। এর চার মাস পেরিয়ে গেলেও ঘাতক গ্রেপ্তার হয়নি।

]গত মাসের ১১ তারিখ রাতে জিনাত হোসেন (২৪) নামে আরেক বাংলাদেশির লাশ পাওয়া যায় ব্রুকলিনের একটি পাতাল রেলস্টেশনে। সেই মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও উদঘাটন করতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তারা। এরপর রেলস্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা সেলিনা হায়দার নামে এক গৃহবধূ দুর্বৃত্তদের হুমকির শিকার হন বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে কুইন্সে এক দুর্বৃত্ত ধাক্কা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনকে আহত করে, তিনি এখনও কোমায় আছেন।

সর্বশেষ গত ৭ জুন মঙ্গলবার রাতে কুইন্স ভিলেজের সেন্ট আলবেন্সে ১১৩ রোডে অবস্থিত নিজ বাসায় তামিমা সামিরা (১৫) নামে আরেক বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ হন। একটি গুলি তার পায়ে লাগে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

“সম্প্রতি এমন আরও অনেক পরিস্থিতির অসহায় শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা। অথচ এসব ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি”, যোগ করেন মাজেদা উদ্দিন ।

সিটি মেয়র ও সিটি পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার পাশাপাশি সবাইকে সবসময় সরব থাকার আহ্বান জানান ইউএস বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট লিটন আহমেদ।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সিটির হলিস মুসলিম কম্যুনিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম ও শেখ ফরহাদসহ অনেকে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!