দ. কোরিয়ায় ভিড়ে পিষ্ট হয়ে নিহতের সংখ্যা ১৪৬ দাঁড়িয়েছে
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে হ্যালোইন উৎসবে ভিড়ে পিষ্টে হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির সময় রবিবার ভোর ৪.০০ টায় ফায়ার কর্তৃপক্ষ এ তথ্য দিয়েছে। এর আগে কর্তপক্ষ ৫৯ জনে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল।
এ ঘটনায় আরও দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানী সিউলের ইথেওন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সিউলের ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা চোই সুং–বিওম বলেছেন, হ্যালোইন উদ্যাপনের মধ্যে একটি সরু গলিতে বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিত হলে পদদলনের ঘটনা ঘটে।
২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর সিউলে হ্যালোইন উৎসব বন্ধ ছিল। এরপর এবারই প্রথম এই উৎসব হয়, যেখানে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা ছিল না। ‘মৃত আত্মাদের স্মরণে’ প্রতিবছর অক্টোবরের শেষে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে হ্যালোইন উৎসব হয়।
হ্যালোইন উৎসব উদ্যাপনকারীদের কাছে সিউলের ইথেওন এলাকা খুবই আকর্ষণীয় জায়গা। গতকাল রাতে ওই এলাকায় লাখখানেক মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। পদদলনের ঘটনার আগে অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সেখানে অতিরিক্ত ভিড়ের কথা উল্লেখ করেন। জায়গাটি নিরাপদ নেই বলেও উল্লেখ করেন কেউ কেউ।
আগের খবর : দক্ষিণ কোরিয়ায় ভিড়ের চাপে ৫৯ জন নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পদদলনের ঘটনার আগে সেখানে গোলমেলে পরিস্থিতি তৈরি হয়। তখন পুলিশ লোকজনকে আর সামলাতে পারেনি।
দুর্ঘটনাস্থলের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, রাস্তার ওপর ব্যাগে করে মরদেহ রাখা হয়েছে।
জরুরি চিকিৎসাসেবা দিয়ে আহত ব্যক্তিদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা। রাস্তায় একজন আরেকজনের ওপর পড়ে আছেন, তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
ঘটনাস্থলের পাশেই একটি ভবনে অস্থায়ী মর্গ তৈরি করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বিদেশিরাও রয়েছেন। তবে হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে কোন কোন দেশের নাগরিকেরা রয়েছেন, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল এ ঘটনার পর জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে, তার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।