তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ইমোমালি রহমানের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন দেশটিতে বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম।

বুধবার (৩ নভেম্বর) রাজধানী দুশানবেতে জাতীয় প্রাসাদে ঐতিহ্যবাহী ও আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে তিনি পরিচয়পত্র পেশ করেন।

পরিচয়পত্র পেশের পর সৌজন্য বৈঠকে রাষ্ট্রদূত তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছিয়ে দেন এবং বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

Travelion – Mobile

রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বশীল কূটনৈতিক মিশনের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে তার ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা জানান এবং বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের সহায়তা কামনা করেন।

তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপতির  কাছে  বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র অনুষ্ঠানে উপস্থিতি। বাংলাদেশ দূতাবাস
তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র অনুষ্ঠানে উপস্থিতি। বাংলাদেশ দূতাবাস

রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশ ও তাজিকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার ক্ষেত্রে প্রচেষ্টা গ্রহণের সংকল্প ব্যক্ত করেন। তিনি উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং গার্মেন্টস, ফার্মাসিউটিক্যালস, পাট, চামড়া এবং অন্যান্য শিল্প খাতে বাংলাদেশের প্রশংসনীয় অর্জন সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন ।

তিনি গার্মেন্টস এবং ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরের মতো সম্ভাব্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার এবং তাজিকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশে যৌথ উদ্যোগ স্থাপনের প্রস্তাব করেন।

অনুষ্ঠানে তাজিকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরোজিদ্দীন মুরিদ্দীন এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পত্নী উম্মুল ফাতেমা এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার ও দূতালয় প্রধান নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮৬ ব্যাচের কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম গত বছরের অক্টোবরে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নেন। একই সঙ্গে তিনি আফগানিস্তান, কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার অতিরিক্ত সচিব পদে ছিলেন।

পূর্বের কর্মস্থল অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইআরডির এশিয়া ও জেইসি অণুবিভাগে যুগ্ম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশ-ভারত বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় আন্তমন্ত্রণালয় প্রতিনিধিদলে বাংলাদেশ পক্ষে নেতৃত্ব দিয়ে এলওসি চুক্তি সম্পাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে ইআরডিতে ডেভেলপমেন্ট ইফেকটিভনেস অণুবিভাগে দায়িত্ব পালনকালে ইআরডির এসডিজি বিষয়ক অলটারনেট কো-অর্ডিনেটরের বিশেষ দায়িত্ব পালনসহ জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সুপারিশ লাভের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের বিভিন্ন কমিটিতে ইআরডি থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সরবরাহ করে বাংলাদেশের উত্তরণ প্রক্রিয়ায় ভূমিকা পালন করেন।

মেহেরপুরে জন্ম নেওয়া জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!