জার্মানিতে আবার আগ্রাসী হচ্ছে করোনা

বিবিসি অনলাইনের মতে বুধবার জার্মানিতে করোনায় ৯৫২ জন মারা গেছেন এবং নতুন করে ২৭ হাজার ৭২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

জার্মানির নতুন লকডাউনের আওতায় জরুরি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপারমার্কেট ও ব্যাংক খোলা রাখা হলেও রেস্তোরাঁ, পানশালা ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো নভেম্বর থেকেই বন্ধ রয়েছে।

কিছু এলাকায় স্থানীয়ভাবে লকডাউন আগে থেকেই চালু রয়েছে। এখন চুল কাটার দোকান, জনসম্মুখে অ্যালকোহল গ্রহণের মতো কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখনকার পরিস্থিতি আগের চেয়ে গুরুতর। করোনার সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেশি এবং এ হারও বাড়ছে। তবে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ চালানোর অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

Travelion – Mobile

জার্মানির সংক্রামক রোগ গবেষণা কেন্দ্র ‘রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট’-এর প্রধান লোথার উইলার বলেছেন, এখনকার পরিস্থিতি আগের চেয়ে গুরুতর। করোনার সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেশি এবং এ হারও বাড়ছে। ভয়ের কথা হচ্ছে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে মহামারি ও এর পরিণতি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে।

করোনার বিস্তার ঠেকাতে বড়দিনের আগেই জার্মানির সঙ্গে অন্যান্য ইউরোপের দেশগুলো বিধিনিষেধ জারি করেছে। ফ্রান্সে আগে থেকেই রাতের বেলা কারফিউ জারি রয়েছে।

এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান ভন ডার লিয়েন বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই ইউরোপে প্রথমবারের মতো করোনার টিকা অনুমোদন পেতে পারে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টকে তিনি জানিয়েছেন, জার্মানিতে প্রস্তুত করা ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকাটি করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা

বিবিসির প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, জার্মানি সরকার ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সিকে (এমা) করোনার টিকা অনুমোদনের বিষয়ে চাপ দেওয়ার পরই এ খবর সামনে এসেছে। ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকাটি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে এরই মধ্যে অনুমোদন পেয়েছে। আগামী সোমবার এ টিকা অনুমোদনের বিষয়ে আলোচনা করবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!