চট্টগ্রাম-শারজাহ রুটে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট

চট্টগ্রাম-শারজা রুটে সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালু করছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিমান। আগামীকাল বুধবার (২০ এপ্রিল) প্রথম ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজা যাবে। এত দিন চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশ বিমান দুবাই, আবুধাবি রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করলেও শারজাহ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার উদ্যোগ এই প্রথম।

বাংলাদেশ বিমান এমন এক সময়ে শারজা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করছে যখন বিদেশি বিমান সংস্থা ‘এয়ার অ্যারাবিয়া’ সপ্তাহের প্রতিদিন সকাল-বিকাল ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ফলে এয়ার অ্যারাবিয়ার সাথেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বাংলাদেশ বিমানের। বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা শুরুর খবরে দুবাই, আবুধাবি, শারজা রুটে বিমান ভাড়া আরো কমবে বলে আশা যাত্রীদের।

বাংলাদেশ বিমানের চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার এ কে এম ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম থেকে শারজা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার উদ্যোগ এই প্রথম। ২০ এপ্রিল থেকে সপ্তাহে চার দিন সোম, বুধ, বৃহস্পতি, শনিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে। তবে শারজা থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম ফিরবে দুই দিন আর দুই দিন ঢাকায় ফিরবে।

Travelion – Mobile

তিনি বলেন, এত দিন চট্টগ্রাম থেকে আবুধাবি রুটে সপ্তাহে দুটি এবং চট্টগ্রাম-দুবাই রুটে সপ্তাহে তিনটি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান। সবগুলো ফ্লাইটই বিলাসবহুল বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এবং বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ দিয়ে পরিচালনা করছে। আর শারজা রুটে চলবে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ দিয়ে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে আবুধাবি রুটে সপ্তাহে সাতটি এবং চট্টগ্রাম-শারজা রুটে সপ্তাহে ১৪টি অর্থ্যাৎ ২১টি ফ্লাইট একাই পরিচালনা করছে শারজাভিত্তিক বিমান সংস্থা ‘এয়ার অ্যারাবিয়া’। আর দুবাইভিত্তিক বিমান সংস্থা ‘ফ্লাই দুবাই’ চট্টগ্রাম-দুবাই রুটে সপ্তাহে ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আর বাংলাদেশ বিমান দুবাই, আবুধাবি, শারজা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে মোট ৯টি। সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম থেকে আরব আমিরাতে ফ্লাইট সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৪৪টি।

বাংলাদেশ বিমানের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম-শারজা আসা-যাওয়ার মোট ভাড়া দেখাচ্ছে ৭৬ হাজার ৮০৮ টাকা। আর এয়ার অ্যারাবিয়ার নিজস্ব ওয়েবসাইটে একই রুটের ভাড়া দেখানো হয়েছে ৭১ হাজার ১৫৬ টাকা। তবে এয়ার অ্যারাবিয়ার ফ্লাইটের তুলনায় বাংলাদেশ বিমানের ভাড়া বেশি হলেও সুযোগ-সুবিধা বিমানেই বেশি।

গালফ ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম বলেন, বিদেশি বিমান সংস্থাগুলো যখন গলাকাটা ভাড়া আদায় করছিল বিমান তখন চুপ ছিল। বিদেশি বিমান সংস্থাগুলো ‘ক্রিম’ খাওয়া শেষ হওয়ার পর এখন বিমান শেষ মুহূর্তে এসে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ভিজিট ভিসায় প্রচুর যাত্রী আরব আমিরাত চলে গেছে আগেই। এখন যাত্রীর চাপ সেভাবে নেই। তিনি বলেন, এরপর বাংলাদেশ বিমান যাত্রী পাবে কারণ তাদের উড়োজাহাজ বড় লাগেজ সুবিধা বেশি, খাবার যুক্ত আছে।

YouTube video

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!