কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে ইন্টারনেট আনছে বোয়িং

মহাকাশ থেকে কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পৃথিবীতে পাওয়া যাবে ইন্টারনেট সুবিধা। এমন ইন্টারনেট প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িং করপোরেশন।

গত বুধবার বোয়িং কর্তৃপক্ষকে ইন্টারনেট সরবরাহের জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। খবর এএফপির।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি) এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা বোয়িংকে মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহপুঞ্জ নির্মাণ, স্থাপন ও পরিচালনার জন্য অনুমোদন দিয়েছে।

Travelion – Mobile

এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বব্যাপী আবাসিক, বাণিজ্যিক, প্রাতিষ্ঠানিক, সরকারি ও পেশাদার ব্যবহারকারীদের জন্য ব্রডব্যান্ড এবং যোগাযোগ পরিষেবা দেওয়া হবে।

এফসিসির চেয়ারম্যান জেসিকা রোজেনওরসেল বলেন, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নত সংযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে স্যাটেলাইট ব্রডব্যান্ড সেবা।’

শুরুতে বোয়িংকে ১৪৭টি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। এসবের মধ্যে অধিকাংশ কৃত্রিম উপগ্রহ নিম্ন কক্ষপথে স্থাপন করা হবে। এর মধ্যে ১৩২টি কৃত্রিম উপগ্রহ থাকবে ৬০০ মাইল উঁচুতে। ১৫টি স্থাপন করা হবে ১৭ হাজার থেকে ২৭ হাজার মাইল উঁচুতে।

বোয়িংয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, স্যাটেলাইট প্রযুক্তির জন্য বহু-কক্ষপথের ভবিষ্যৎ দেখছে প্রতিষ্ঠানটি। যেহেতু কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে যোগাযোগের চাহিদা বাড়ছে, তাই এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে কক্ষপথ ব্যবস্থাপনা ও ফ্রিকোয়েন্সিতে আরও বৈচিত্র্যের প্রয়োজন হবে।

ইতিমধ্যে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে ইন্টারনেট সুবিধা দিতে কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেস এক্স।

তারা স্টারলিংক নেটওয়ার্ক গড়তে মহাকাশে দেড় হাজার কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। এ ছাড়া আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের কুইপার নামের এ ধরনের প্রকল্প রয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!