কুয়েতে আবারও সাধারণ ক্ষমার সুযোগ পাচ্ছে অবৈধ প্রবাসীরা!

মানবপাচার নিয়ে নানা অভিযোগে আন্তর্জাতিক মহলে বেশ সমালোচিত হওয়ার পর থেকে কঠোর অবস্থানে গেছে কুয়েত সরকার। তাই দেশটিতে অবৈধ প্রবাসীদের বসবাস রোধে দ্বিতীয় দফায় সাধারণ ক্ষমার সুযোগ দিতে যাচ্ছে সরকার। দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী আনাস আল-সালেহ ভিসা ব্যবসায়ী এবং আকামা আইন অমান্যকারীদের কাছ থেকে কুয়েতকে মুক্ত করতে তার ‘তিন দফা’ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন আরব টাইমস জানিয়েছে। ।

প্রথম দফায় সাধারণ ক্ষমার আওতায় জরিমানা ছাড়াই কুয়েত ছেড়েছেন প্রায় ২৬,৪০০ জন অবৈধ প্রবাসী। তবে দেশটিতে এখনো ৯০ হাজারের অধিক অবৈধ প্রবাসী থেকে যাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবারও সাধারণ ক্ষমার সুযোগ দিয়েছে কুয়েত সরকার।

নির্ভরযোগ্য সূত্র আরব টাইমসকে জানিয়েছে, মন্ত্রী পরিষদের ঘোষণা অনুযায়ী দেশে জীবনযাত্রা পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসলে এ সাধারণ ক্ষমার সুযোগ দেয়া হবে। এর আওতায় স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ এবং জরিমানা ছাড়াই দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য নতুন এক মাসের সময়সীমা দেয়া হবে।

Travelion – Mobile

সূত্রগুলো উল্লেখ করেছে যে এখনো ৯০ হাজার এর বেশী আকামা আইন লঙ্ঘনকারী রয়েছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা করছে যে তাদের অনেকেই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য দ্বিতীয় ক্ষমা বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

আরব টাইমস জানিয়েছে, পরিকল্পনার তৃতীয় এবং চূড়ান্ত দফার কাজ শুরু হবে দ্বিতীয় দফা শেষ হওয়ার পরপরই। এর মধ্য দিয়ে অবশিষ্ট আইন লঙ্ঘনকারীদের সংখ্যা, জাতিয়তা ও অবস্থান সনাক্ত করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আনাস আল-সালেহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছেন আইন লঙ্ঘনকারীদের তালিকা তৈরি করতে যারা সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নেয়নি এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের খুঁজে বের করতে। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে এই পরিকল্পনার এই দফাটি বছর শেষ হওয়ার আগেই শুরু হবে এবং এর লক্ষ্য হচ্ছে ৫০ শতাংশ আইন অমান্যকারীদের অপসারণ করা এবং তাদের স্পনসরদের নাম বের করে লেনদেন স্থগিত করা। পরিকল্পনার তিনটি ধাপের শেষ দিকে অবৈধ শ্রমিককে এক কোম্পানি থেকে অন্য কোম্পানিতে স্থানান্তরে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে এবং অপরাধীকে দেশত্যাগ করতে হবে।

মানব পাচার ও অভিবাসী পাচার প্রতিরোধে কুয়েতের জাতীয় কৌশল বাস্তবায়নের জন্য গঠিত স্থায়ী কমিটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের অফিস অফ মনিটরিং অ্যান্ড কমব্যাট ট্রাফিকিং ইন পার্সনসের (ওএমসিটিপি) জারি করা বার্ষিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছে। ওএমসিটিপি এর আগে কুয়েতকে মানব পাচার রোধে ব্যর্থ বলে অভিমত দিয়েছিল যা আন্তর্জাতিক মহলে বেশ সমালোচনার ঝড় তুলে।

কুয়েতের পাবলিক অথরিটি ফর ম্যানপাওয়ারের (পিএএম) সূত্র মতে, এই কমিটিতে সংশ্লিষ্ট নানা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং সরকারী প্রতিষ্ঠানের সদস্য অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে পররাষ্ট্র, ন্যায়বিচার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্যাম একে অপরের সাথে সমন্বয় সাধন করে ওএমসিটিপির প্রতিবেদনে উঠে আসা অভিযোগ ও সীমাবদ্ধতা ভুল প্রমাণে কাজ করছে।

আরব টাইমস জানিয়েছে, এই কমিটি পাল্টা জবাব হিসেবে মানবপাচারের মত ঘৃণ্য অপরাধ মোকাবেলায় কুয়েতের কঠোর প্রচেষ্টা তুলে ধরবে এবং অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগে যেসব ভুয়া কোম্পানি দায়ী থেকে কুয়েতকে মুক্ত করবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র উল্লেখ করেছে যে, এ পর্যন্ত যে সব কোম্পানির বিরুদ্ধে আভিযোগ এসেছে তাদের ফাইল কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং আকামা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কিছু কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি এখানেই শেষ হয়নি। অন্যায়ে জড়িত সন্দেহে পিএএমের কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকেও বরখান্ত করে প্রসিকিউশনে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। আটক হওয়া অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় এসব কর্মকর্তার নাম উঠে আসার পর তাদের বরখাস্ত করা হয়।

তথ্য মতে, পিএএমের জরুরী অবস্থা এবং ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট টিম আইনের আওতায় আসা কোম্পানির কর্মীদের সমস্ত আর্থিক বকেয়া পরিশোধের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তাদের ক্ষতিপূরণ প্রদান শেষ হলে নিজ দেশে স্থানান্তরের বিষয়টিও তত্ত্বাবধান করছে এই টিম।

করোনাময় বিশ্ব : কেমন আছেন পর্তুগালপ্রবাসী বাংলাদেশিরা

করোনাময় বিশ্ব : কেমন আছেন পর্তুগালপ্রবাসী বাংলাদেশিরাঅতিথিরানা তসলিম উদ্দিন, সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার, পর্তুগালএনামুল হক, প্রবাসী উদ্যোক্তারনি মোহাম্মদ, আহবায়ক, বাংলা প্রেস ক্লাব, পর্তুগালসঞ্চালনায় : আহমেদ তোফায়েল, সাংবাদিক ও উপস্থাপক২৮ জুন, রোববার – পর্তুগাল সময় : বিকেল ৫ টা, ইউরোপ সময় : সন্ধ্যা ৬ টা, বাংলাদেশ সময় : রাত ১০ টা

Posted by AkashJatra on Sunday, June 28, 2020

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!