কান্টাস চালু করছে বিশ্বের দীর্ঘতম ফ্লাইট

বিশ্বের দীর্ঘতম যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কান্টাস এয়ারওয়েজ। বিমান পরিবহন সংস্থাটি ঘোষণা করেছে, তারা ২০২৫ সাল থেকে সিডনি থেকে লন্ডন এবং নিউ ইয়র্ক পর্যন্ত বিশাল দূরত্বে বিরতিহীন ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে।

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিমানসংস্থাটি বলেছে, তারা এয়ারবাস এ ৩৫০-১০০০ উড়োজাহাজের একটি নতুন বহর কিনেছে। এগুলো বিশ্বের যেকোনো শহরে সরাসরি ফ্লাইট চালাতে সক্ষম।

কান্টাসের প্রথম সিডনি-লন্ডন ফ্লাইট যাবে ২০২৫ সালের শেষের দিকে। এ যাত্রায় প্রায় ২০ ঘণ্টা সময় লাগবে। এটি হবে বিশ্বের দীর্ঘতম যাত্রীবাহী ফ্লাইট।

Travelion – Mobile

১৯৪৭ সালে প্রথম চালু হওয়া সিডনি-লন্ডন রুট যাত্রায় এক সময় ৫৮ ঘণ্টা লাগতো। তখন এতে ছিল সাতটি যাত্রাবিরতি।

কান্টাসের প্রধান নির্বাহী অ্যালান জয়েস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এ৩৫০ এবং ‘প্রজেক্ট সানরাইজ’ বিশ্বের যেকোনো শহরকে অস্ট্রেলিয়া থেকে মাত্র এক ফ্লাইটের দূরত্বে নিয়ে আসবে। এটিই উড়ানের শেষ সীমান্ত আর দূরত্বের অত্যাচারের চূড়ান্ত সমাধান। ’

কান্টাস প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। কভিড-১৯ মহামারির কারণে এর বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়েছে।

২০১৮ সালে কান্টাস লন্ডন ও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থের মধ্যে ১৭ ঘন্টার সরাসরি ফ্লাইট শুরু করে। ২০১৯ সালে তারা পূর্ব উপকূল থেকে যুক্তরাজ্য এবং নিউইয়র্ক পর্যন্ত একাধিক পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করে।

কান্টাসের ১২টি বিমানের নতুন বহর আসতে শুরু করবে ২০২৫ সালে। অর্ডার সরবরাহ করা শেষ হবে ২০২৮ সালের মধ্যে।

প্রতিটি বিমান ২৩৮ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম হবে। আসনগুলো হবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি খোলামেলা। যাত্রীরা বিমানের কেন্দ্রে একটি ‘সুস্বাস্থ্য অঞ্চল’-এও যেতে সক্ষম হবে।

সুস্বাস্থ্য অঞ্চলে থাকবে সেল্ফ সার্ভিস স্ন্যাক বার এবং হাত-পা মেলা ও হাঁটাচলার স্থান। টানা ২০ ঘণ্টা আকাশে থাকার প্রভাব মোকাবেলা করা সহজ হবে এতে।

কান্টাস এখনো যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বিরতিহীন ফ্লাইট পরিচালনা করে। তাদের বোয়িং ৭৮৭ লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর এবং অস্ট্রেলিয়ার নর্দান টেরিটরির ডারউইনের শহরের মধ্যে চলে। অস্ট্রেলিয়া থেকে ফ্লাইটটি প্রায় ১৭ ঘণ্টা সময় নেয়। ফিরতি যাত্রায় লাগে প্রায় ১৬ ঘণ্টা। সূত্র: বিবিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!