করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় প্রবাসীদের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ

সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশিসহ প্রবাসীরা চরম দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তায় রয়েছে। কম বেশি সব কয়টি দেশে চলা কঠোর লকডাউনে গৃহবন্দী প্রবাসীরা। কোম্পানিগুলোর কাজ বন্ধ,বেশিরভাগ শ্রমিকদের কাছে নগদ অর্থ নেই। লকডাউনের সময় বেতন পরিশোধের সরকারি ঘোষণা থাকলেও তা পাওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। অনেকের নিয়োগকর্তা বেতন, খাদ্য, ওষধ ইত্যাদি প্রদান করছে। কিন্তু যাদের নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তা নেই, এখানে সেখানে কাজ করছে এবং অবৈধ অভিবাসীদের অবস্থা সবচেয়ে করুণ। খাদ্য সংকটে ভুগছেন অনেকে।

মধ্যপ্রাচ্যেসহ সারাবিশ্বে এমন পরিস্থিতির শিকার অসহায় ও দুঃস্থ প্রবাসী কর্মীদের সহায়তা প্রদান করবে বাংলাদেশ সরকার। সংকটকালীন তাদের খাদ্য, ঔষধ এবং অন্যান্য দৈনন্দিন প্রয়োজন মেঠানোর জন্য সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার জন্য বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলােকে নির্দেশনা দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

গত বুধবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সভাপতিত্বে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত মনিটরিং কমিটির সভাতেই প্রবাসী বাংলাদেশি অধ্যুষিত দেশগুলোর শ্রম উইংয়ের মাধ্যমে আসা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সহায়তা প্রদানের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। সেই বৈঠকের পরপরই প্রবাসীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয় মিশনগুলোতে এবং এ লক্ষ্যে চাহিদা পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় শ্রম উইংগুলােকেকে।

Travelion – Mobile

বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের মিডিয়াকে বলেছেন, সকল দূতাবাস ও হাইকমিশনকে হটলাইনের মাধ্যমে প্রবাসীদের সমস্যাগুলো জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে অসহায় ও দুঃস্থ প্রবাসী কর্মীরা যাতে খাদ্য সংকটে না থাকে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে এই অর্থ বরাদ্ধ করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত সরকারের কাছে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়নি। প্রয়োজনে তাও করা হবে।

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় দূতাবাস, হাইকমিশন ও কনস্যুলেটগুলোর শ্রম উইং একেবারে নিঃস্ব প্রবাসী কর্মীদের তালিকা প্রস্তুত করে চাহিদা পাঠানোর কাজ করছে, মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের শ্রম ইউংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে।

শ্রম উইংয়ের কর্মকর্তার আকাশযাত্রাকে জানান, নির্দেশনা আসার পর থেকে আমরা নিজস্ব উৎস, কমিউনিটি সংগঠন ও নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সংকটে থাকা বিশেষ করে খাবারের অভাব থাকা প্রবাসী কর্মীদের তালিকা করছি। এই তালিকার ওপর ভিত্তি করে মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হবে।

তাদের কাছে থেকে আরও জানা যায়, বিশেষ পরিস্থিতির কারণে জরুরীভিত্তিতে শ্রম উইংয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে এই ব্যয় মেটানো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মন্থ্রণালয় থেকে।

এ নিয়ে আগামী রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যৌথ বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!