করোনায় মারা গেলেন এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোরশেদুল আলম

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের পরিচালক মোরশেদুল আলম (৬২)।

শুক্রবার (২২ মে) রাত ১০ টা ৫০ মিনিটে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় নির্ধারিত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।

তিনি এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের বড় ভাই। তিনিসহ তাদের পরিবারের আরও পাঁচ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে সাইফুল আলম মাসুদ সুস্থ আছেন।

Travelion – Mobile

করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে মোরশেদুল আলম তার অন্য চার ভাইয়ের সঙ্গে নগরীর সুগন্ধার বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকেলে মোরশেদুল আলমের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউ ওয়ার্ডে আগে থেকেই এস আলম পরিবারের আরেক সদস্য রাশেদুল আলম চিকিৎসাধীন ছিলেন।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডের দশটি শয্যার সবকটিই পূর্ণ থাকায় সেখানে গুরুতর অসুস্থ মোরশেদুল আলমকে ভর্তি করা যাচ্ছিল না। তবে অপর ভাই রাশেদুল আলমের শারীরিক অবস্থার তুলনামূলক উন্নতি হওয়ায় তাকে আইসিইউ ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে সেখানে প্রায় মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের বড় ভাই মোরশেদুল আলমকে ভর্তি করা হয়।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব জানান, মোরশেদুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি আগে থেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। তার হার্টে রিং বসানো ছিল। ভর্তির পর তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র- আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তার।

পাঁচ দিন আগে গত ১৭ মে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় সাইফুল আলম মাসুদের পাঁচ ভাই ও একই এক ভাইয়ের স্ত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

মোরশেদুল আলম ছাড়া আক্রান্ত বাকিরা হলেন, এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ লাবু, এস আলম গ্রুপের পরিচালক রাশেদুল আলম, শহীদুল আলম ও ওসমান গণি এবং তাদের মধ্যে একজনের স্ত্রী।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!