করোনাভাইরাস রোধে ইতালির ১২ শহর কোয়ারেন্টাইনে

ইউরোপে করোনাভাইরাসের (কোভিট ১৯) সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ইতালি। ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ জনে দাঁড়ানোর পর শনিবার রাতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে প্রাদুর্ভাব রোধে জরুরি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।

কন্তের ঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, করোনার বিস্তার ঠেকাতে উত্তর ইতালির লোম্বারডি ও ভেনেতো অঞ্চলের অঞ্চলের ১২টি শহর কার্যত ‘কোয়ারেন্টাইন’ করে রাখা হচ্ছে। ওই শহরগুলোর প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দাকে কর্তৃপক্ষ বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

কন্তে বলেছেন, ভাইরাস আক্রান্ত এলাকার লোকজন বিশেষ অনুমতি ছাড়া বের হতে পারবেন না। অন্য এলাকার লোকজনও অনুমতি ছাড়া সেসব স্থানে প্রবেশ করতে পারবেন না কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া।

তালির উত্তরাঞ্চলীয়  শহরগুলোতে এক সপ্তাহের জন্য জনসমাগমস্থল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তালির উত্তরাঞ্চলীয় শহরগুলোতে এক সপ্তাহের জন্য জনসমাগমস্থল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ওই শহরগুলোর সব স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে এবং সব ধরনের ক্রীড়া কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রোববার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকা শীর্ষ ফুটবল লিগ সেরি আ’র তিনটি ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে।

Travelion – Mobile

লমবারদির স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান জুইও গ্যাল্লিয়া বলেন, “এই ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রবণতা খুব শক্তিশালী ও অত্যন্ত তীব্র।”

লমবারদি ও ভেনেতোর বিচ্ছিন্ন করে রাখা ওই এলাকাগুলো বাইরে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা ইতালির কর্তৃপক্ষগুলোর।

বিধিনিষেধ কার্যকর নিশ্চিতে পুলিশ এবং প্রয়োজন হলে সশস্ত্র বাহিনীগুলো কর্তৃপক্ষের ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছে সরকার।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে নতুন করোনাভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তারপর থেকে শনিবার পর্যন্ত এ ভাইরাসের সংক্রমণে ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৬১ জনে, যাদের মধ্যে ১৯ জন ছাড়া বাকি সবার মৃত্যু ঘটেছে চীনে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!