ওমানে ৭০ জন গর্ভবতী করোনা আক্রান্ত, নেই মৃত্যু

ওমানে এখনও পর্যন্ত ৭০ জন গর্ভবতী মহিলা করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রয়েল হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের পরিচালক ডা.মোজা আবদুল্লাহ আল সোলাইমানি জানিয়েছেন এদের মধ্যে কারও মৃত্যু না হলেও নয়জন বর্তমানে আইসিইউতে রয়েছেন।

তিনি বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে তিনটি জটিল কেস ছিল যারা তাদের চিকিৎসার স্বার্থে অকালে প্রসব বাধ্য হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন ২৪ সপ্তাহের আগেই প্রসব করেন যার ভ্রূণটি মারা গিয়েছিল। অন্য দুটি কেসের ক্ষেত্রে ২৮ সপ্তাহে তারা প্রসব করেন যেখানে তাদের অকাল ভূমিষ্ঠ নবজাতকদের এনআইসিইউতে ভর্তি করতে হয়েছে।

এক বিবৃতিতে ডা. মোজা বলেন, “কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত গর্ভবতী মহিলারা সমাজে অন্যান্য অংশের মতই স্বাভাবিকভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গর্ভবতীদের মৃত্যুঝুঁকি আলাদা করে বেশি নয় বলে যে মত দিয়েছে সেটিই এর মাধ্যমে প্রমাণিত হচ্ছে।”

Travelion – Mobile

আরও পড়তে পারেন : ওমানে প্রবাসীদের ফিরতে আবেদনের প্রক্রিয়া করছে ট্রাভেল এজেন্সি

যদিও তাদের শরীরের পরিস্থিতি এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার পরিবর্তনের কারণে, গর্ভবতী মহিলাদের শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সংক্রমণ ঝুঁকিতে ফেলতে পারে বলেও জানান তিনি। বলেন, “তাই এই ভাইরাস থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা এবং তাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর কাছে কোন উপসর্গ (জ্বর, কাশি বা শ্বাস-প্রশ্বাসের অসুবিধা সহ) দেখা দিলেই জানানো জরুরী।”

এই চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন যে বেশিরভাগ গর্ভবতী মহিলার মৃদু উপসর্গ ছিল। এসব মায়েরা সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং এখন পর্যন্ত কোন নবজাতকের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়নি। তিনি বলেন, “রয়েল হাসপাতালে বেশিরভাগ কোভিড-১৯ গর্ভবতী রোগী ভর্তি হয়েছেন তাদের স্বামী বা পরিবারের সদস্যের কাছ থেকে আক্রান্ত হয়ে।

ডা. আল সোলায়ামানি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দুর্ভাগ্যবশত আমাদের এই বিভাগে কিছু গর্ভবতী মহিলার সংক্রমণ হলেও তাদের পরিবার থেকে তা প্রকাশ করা হয়নি। ফলে এতে অন্য রোগী এবং স্বাস্থ্য কর্মীর সাথে তাদের সংস্পর্শ হওয়ায় বিপদ আর ঝুঁকি আরও বেড়েছে। তাই সকল গর্ভবতী মহিলাদের তাদের পরিবারে বা নিজের কোন উপসর্গ দেখা দেখা দিলে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে তা রিপোর্ট করতে অনুরোধ জানান তিনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরামর্শ দিয়েছে, উপসর্গ থাকা গর্ভবতী মহিলাদের পরীক্ষার জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। যদি তাদের এটা থাকে, তাহলে তাদের বিশেষ সেবার প্রয়োজন।

আরও পড়তে পারেন : আবেদনের মাধ্যমে কাতারে ফিরতে পারবেন প্রবাসীরা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এখন পর্যন্ত কোন প্রমাণ নেই যে এই রোগে আক্রান্ত একজন গর্ভবতী মহিলা গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের সময়ে তার ভ্রূণ বা শিশুকে সংক্রমিত করতে পারে। তবে জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা বা ডায়রিয়া হলে গর্ভবতীকে তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষার জন্য নিকটবর্তী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই যেতে হবে জানিয়েছেন সংস্থাটির চিকিৎসকেরা। এছাড়াও তাদের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকা নির্দেশনা দিয়েছেন তারা।

এছাড়াও পূর্ব সাবধানতা হিসেবে তাদের অবশ্যই ঘন ঘন হাত ধুতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, চোখ, নাক এবং মুখ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া মুখ এবং নাক সবসময় ঢেকে রাখার পাশাপাশি কনুই বা টিস্যু ব্যবহার করে হাঁচি কাশি দিতে হবে।

কেমন আছেন কাতারপ্রবাসী বাংলাদেশিরা

কেমন আছেন কাতারপ্রবাসী বাংলাদেশিরাবীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর ফারুক চৌধুরী, উপদেষ্টা – বাংলাদেশ কমিউনিটি, কাতারমোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন , বিজনেস ম্যানেজার, আল-জামান এক্সচেঞ্জ, আমিন রসুল (সাইফুল), সেক্রেটারি-জেনারেল – বাংলাদেশ কমিউনিটি কাতার সমন্বয় ও সহযোগিতা : নুর মোহাম্মদ, লেখক ও সাংবাদিকসঞ্চালনায় : আহমেদ তোফায়েল, সাংবাদিক ও উপস্থাপক

Posted by AkashJatra on Monday, July 20, 2020

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!