এমিরেটসের ৩৬০ আসনের ফ্লাইটে যাত্রী একজন
৩৬০ আসনের ফ্লাইটে মাত্র একজনযাত্রী নিয়েই ভারতের মুম্বাই থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে উড়ে যেতে হয়েছে এমিরেটসকে। দুবাইয়ের ২০ বছরের বাসিন্দা ভবেশ জোবারি ইকে ৫০১ ফ্লাইটে একক যাত্রী হওয়ার অভিজ্ঞতার ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
করোনা প্রকোপের মধ্যে অন্য যাত্রীরা যাত্রা বাতিল কিংবা স্থগিত করায় প্রায় ফাঁকা ফ্লাইট পরিচালনা করতে বাধ্য হয় এমিরেটস এয়ারলাইনস। তবে যাত্রী ভবেশ জোবারিকে ভাগ্যবানই বলতে হয়। মাত্র ১৮ হাজার রূপীর দিয়ে এমন আলিশানভাবে ভ্রমণ করার সুযোগ পেয়েছেন দুবাই-ভিত্তিক স্টারজেমসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হি ভবেশ জাভেরি ২০০১ সালে দুবাই এসেছিলেন এবং ২০০৪ সালে তার নিজস্ব সংস্থা শুরু করেছিলেন।
খালিজ টাইমস পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,ভবেশ জোবারি সম্প্রতি মুম্বাইয়ে বাড়িতে বেড়াতে আসেন। আর ফিরে যাওয়ার সময় যা ঘটল, তা অবিশ্বাস্য। ভবেশের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে প্রথমে তিনি নিজের পরিচয় দিচ্ছেন। এরপর তিনি বলেন, ‘আমি সাধারণত নিজের ভিডিও প্রকাশ করি না। কিন্তু আজকের দিনটি আমার জন্য বিশেষ। কারণ, বোম্বে (মুম্বাই) থেকে দুবাইগামী এমিরেটস ফ্লাইটের একমাত্র যাত্রী আমি।’
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ভারতে আকাশপথের যাত্রী যে প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে, সেটাও প্রকাশ পেয়েছে ভবেশের ওই ভিডিওতে। প্রায় যাত্রীশূন্য মুম্বাই বিমানবন্দরে কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী ও এয়ারলাইনসের কর্মীর ঘোরাঘুরি ধরা পড়ে ভিডিওতে।
এয়ারলাইনসের কর্মীরা ভবেশকে উড়োজাহাজের দিকে নিয়ে যাওয়ার সময় ‘যাত্রা নিরাপদ’ হোক বলে শুভকামনা জানান। একমাত্র যাত্রীর জন্য ফ্লাইটের ক্রুরা আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন। উড়োজাহাজে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে করতালির মাধ্যমে স্বাগত জানান ক্রুরা।
পরে এমিরেটসের ইকে ৫০১ ফ্লাইটের পাইলট ভবেশের সঙ্গে কথা বলেন। ভবেশের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাধারণত ফ্লাইট শুরুর আগে একজন ক্রু যাত্রীদের উদ্দেশে একটি বড় ঘোষণা দেন। যেহেতেু এই ফ্লাইটে যাত্রী একজন, তাই তিনি নিজেই এসেছেন নিয়মকানুন জানাতে। পাইলট আরও বলেন, ‘আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। যাত্রী একজন হলেও আমি সম্মানিত। এই ফ্লাইটের অংশ হওয়ার জন্য আমি খুবই আনন্দিত।’
অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী কমেন্টে ভবেশকে ‘ভাগ্যবান ব্যক্তি’ বা লাকি পারসন হিসেবে বর্ণনা করেন।