উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবসে বর্ণাঢ্য আয়োজন

যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসে ৪৯তম বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উজবেকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত মানিশ প্রভাত,উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকা বিভাগের প্রধান বাহারাম শারিফতসহ বিভিন্ন দূতাবাসের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট উজবেক নাগরিক, তাশখন্দের ক্যামব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান এবং উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে দেশটির রাজধানী তাসখন্দে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় সঙ্গীতের সুরে সুরে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন দেশটি নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম। এরপর রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় জাতির পিতার ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের মহান আত্মার শান্তি এবং বাংলাদেশের অব্যাহত সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজান করা হয়।

আলোচনার পর্বের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ত্রিশ লক্ষ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং দুই লক্ষ সম্ভ্রমহারা মা বোনের স্মূতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিজয় দিবস উপলক্ষে দেয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম
জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম

আলোচনায় বিদেশি কুটনৈতিকরা তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশকে বিজয় দিবসের অভিনন্দন জানিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব বাংলাদেশকে এবং বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার অভ্যুদয়ে বিশেষ অবদানের কথা উল্লেখ করেন।

Travelion – Mobile

রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম তার বক্ততার শুরুতে জাতির স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরে তাঁর প্রতি প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেই সঙ্গে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বীর শহীদ ও মুক্তিযােদ্ধা, হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতিত মা-বোনদের আত্মত্যাগ এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে ‘সোনার বাংলা’ অর্জন সম্ভব- শুধু প্রয়োজন দলমত নির্বিশেষে স্বাধীনতার স্বপক্ষে একটি অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা।

তিনি দেশের সাম্প্রতিক ধারাবাহিক অভূতপূর্ব উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী কার্যক্রম তুলে ধরে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের আরও সমৃদ্ধির ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করছেন বিদেশি কুটনৈতিক,  অতিথিসহ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করছেন বিদেশি কুটনৈতিক, অতিথিসহ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর ছবির উপরে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শিশুদের মধ্যে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজনে দেশি-বিদেশি শিল্পীরা অংশ নেন।

বিজয় দিবসের এই আয়োজনে খেলাধুলা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিনী উম্মুল ফাতেমা। অনুষ্ঠানের শেষে বিজয় দিবসের কেক কাটা হয় এবং অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!