আমেরিকায় এক মাসে চাকরি ছাড়লেন ৪৪ লক্ষ মানুষ!

শুক্রবার মার্কিন শ্রম দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, কেবল সেপ্টেম্বরেই চাকরি ছেড়েছেন প্রায় ৪৪ লক্ষ মানুষ। এর আগস্টে চাকরি ছেড়েছিলেন ৪৩ লক্ষ মানুষ। সেই হিসেবকেও টপকে গিয়েছে সেপ্টেম্বর। যার ফলে আমেরিকায় কর্মক্ষেত্রে মোট শূন্যপদ ১ কোটি ৪ লক্ষতে পৌঁছেছে।

আসলে কর্মীদের আত্মবিশ্বাস এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে তাঁরা হাতের চাকরি অনায়াসে ছেড়ে দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন নতুন চাকরির জন্য। চাকরির বাজারের এই টালমাটালের পিছনে রয়েছে কর্মক্ষেত্রে আসা জোয়ার। ফলে বাড়তি বেতন কিংবা আরও ভাল কাজের পরিবেশের সন্ধানে মানুষ অনায়াসে চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান থেকে পরিষ্কার, মার্কিনদের খরচ করার প্রবণতা বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমেই আরও বেশি করে চাঙ্গা হয়ে উঠছে।

Travelion – Mobile

এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে, সেখানে জানানো হয়েছে অক্টোবরে নতুন করে ৫ লক্ষ ৩১ হাজার চাকরি সৃষ্টি হয়েছে সেদেশে। বেকারত্বের হারও একলাফে ৪.৮ শতাংশ থেকে কমে ৪.৬ শতাংশে নেমে গিয়েছে।

সব মিলিয়ে বাইডেনের আমলে সত্যিই এক ‘সুসময়ে’র মুখোমুখি আমেরিকা। অতিমারীর আগে যেখানে রেকর্ড সংখ্যক ৭৫ লক্ষ শূন্যপদে পৌঁছেছিল চাকরির বাজার, সেখানে এবার ১ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে শূন্যপদ।

অথচ গত বছর পরিস্থিতি একেবারেই অন্য় রকম হয়ে গিয়েছিল করোনা কালে। দেশে বাড়তে থাকা সংক্রমণের ধাক্কায় চাকরির বাজারেও গভীর সমস্যার আবহ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবছরের শেষে এসে আমেরিকা কিন্তু আগের পরিস্থিতি ফিরে পেয়েছে। পরিসংখ্যান মানলে পরিস্থিতি কোভিডের আগের চেয়েও ভাল।

কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বেকারত্বের হার কেন আরও কমেনি? মনে করা হচ্ছে, এর পিছনে রয়েছে কয়েকটি কারণ। বহু ক্ষেত্রেই কর্মরতা মহিলারা করোনা পরিস্থিতিতে কাজে বেরনোর সময় শিশুকে যথোপযুক্ত স্থানে রেখে যাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন।

আবার অনেকে সংক্রমণের ভয়ে নিয়মিত বাইরে বেরনো এড়াতেও চাকরি থেকে দূরে সরে রয়েছেন। তাছাড়া কোভিড পরিস্থিতিতে যে বেকারত্ব ভাতা দেওয়া হচ্ছিল তার কারণে বহু মানুষেরই হাতে যথেষ্ট সঞ্চয় থাকায় তাঁরা উপযুক্ত কাজ খোঁজার জন্য সময় নিতে পারছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!