আমিরাতে সিরিয়ার নেতা বাশারের ঐতিহাসিক সফর

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফরে গিয়েছেন। তিনি সেখানকার কয়েকজন প্রভাবশালী শাসকের সঙ্গে দেখা করেছেন। সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আবার জোরদার করার আগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছেন ওই নেতারা।

১১ বছর আগে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রথম কোনো আরব দেশ সফরে গেলেন।

এটি সিরিয়ার সঙ্গে আরব প্রতিবেশীদের সম্পর্কে সম্ভাব্য উষ্ণতারই ইঙ্গিত। এরা এত দিন আসাদকে বিচ্ছিন্ন রেখেছিল।

Travelion – Mobile

দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ আল মাকতুমের সঙ্গে দেখা করেন বাশার। তিনি আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের সঙ্গে দেখা করতে আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতেও যান। আমিরাতের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মতে, তিনি বলেছেন, সিরিয়া আরব নিরাপত্তার একটি মৌলিক স্তম্ভ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে আগ্রহী।

আমিরাত সিরিয়ার জন্য রাজনৈতিক এবং মানবিক সহায়তা প্রদান এবং পরস্পরের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও বাণিজ্য বৃদ্ধি করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানানো হয়েছে।

সিরিয়ার নেতা আমিরাতের উপ-প্রধানমন্ত্রী শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গেও দেখা করেছেন।

২০১১ সালের মার্চ মাসে সিরিয়ার দীর্ঘ এবং রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট গুটিকয়েক আন্তর্জাতিক সফর করেছেন। সিরিয়াকে সামরিক সমর্থন দিয়ে যাওয়া রাশিয়া ও ইরান সফরে গিয়েছেন তিনি। দেশটির গৃহযুদ্ধে জাতিসংঘের হিসাবে এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখ মানুষ নিহত হয়েছে।

উপসাগরীয় প্রভাবশালী আরব দেশগুলোর মিত্র যুক্তরাষ্ট্র আসাদের সফরের সমালোচনা করে বলেছে, তারা ‘গভীরভাবে হতাশ’। গৃহযুদ্ধ নিরসনে অগ্রগতি না হওয়া পর্যন্ত সিরিয়ার নেতার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র : বিবিসি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!