৫ কেজির ওপরে ড্রোন ওড়াতে অনুমতি লাগবে, খেলনায় লাগবে না
বিনোদন, খেলনা, অবাণিজ্যিক উদ্দেশ্য এবং সামরিক বা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজন ছাড়া পাঁচ কেজির ওপরে ড্রোন ওড়াতে অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রেখে ‘ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা-২০২০’ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এ ছাড়া ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমান এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বিনোদনের জন্য (৫ কেজির নীচের ড্রোন) ও রাষ্ট্রীয় ও সামরিক কাজে ড্রোন ব্যবহারে অনুমোদন নিতে হবে না। তবে বাণিজ্যক কাজে ব্যবহারের জন্য ৫ কেজির ওপরে যেকোনো ড্রোন ব্যবহারের জন্য সিভিল এভিয়েশন ও কেপিআই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে।
তিনি বলেন, রেড জোন টোটালি রেস্ট্রিকটেড জোন যেমন এয়ারপোর্ট, ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে, পদ্মাসেতুতে কাউকে ড্রোন ওড়াতে দেবে না। কারণ কি পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটরের (কেপিআই) ভিতরে ড্রোন ওড়াতে পারবে না। এখানে শুধু সিভিল অ্যাভিয়েশন দিলেই হবে না, কেপিআই অথরিটির কাছ থেকেও অনুমতি নিতে হবে। আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা পদ্মার ওপর একটা ডকুমেন্টারি করবে, তখন সিভিল অ্যাভিয়েশন অনুমতি দিলেই হবে না, কেপিআই অথরিটি থেকেও অনুমতি লাগবে।
বৈঠকে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০২০ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনও দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে ছয়মাস আগে নির্বাচন করতে হতো। তখন শপথে অনেকদিন অপেক্ষা করতে হয়। আইনটি পাশ হলে নির্বাচন ৩ মাস আগে হবে। শপথ নেওয়ার পর ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে দায়িত্ব নেবে। সিটি নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বছরে তিন মাসের বদলে এক মাস ছুটি পাবেন।