৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে পাসপোর্ট দিতে বাংলাদেশেকে সৌদির চাপ

সৌদি আরবে অবস্থানরত অন্তত ৫৪ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিতে চাপ দিচ্ছে দেশটি। এমনকি তাদের পাসপোর্ট দেওয়া না হলে দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ওপর নেতিবাচক প্রভাবের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব তথ্য জানান।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আশি-নব্বইয়ের দশকে সৌদি আরবের তৎকালীন বাদশা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এবং রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখেঅনেক রোহিঙ্গাকে দেশটিতে নিয়ে যান। অনেকে সরাসরি গেছে, আবার কেউ কেউ হয়তো বাংলাদেশ হয়ে গেছে। এটি আমরা পুরোপুরি জানি না। সৌদি আরব বলছে, এই সংখ্যা ৫৪ হাজার। সেখানে তাদের পরিবার আছে। তাদের ছেলেমেয়েরা কখনোই বাংলাদেশে আসেনি। তারা সৌদি সংস্কৃতি জানে এবং আরবি ভাষায় কথা বলে। তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে জানে না।’

Travelion – Mobile

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সৌদি সরকার প্রথমে বলেছিল, এই সংখ্যা ৪৬২ জন এবং তারা কারাগারে আছে। নাগরিকত্ব যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশ এদের ফিরিয়ে আনার কথা বলেছিল। পরে যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে দেখা যায়, এদের অধিকাংশের কোনো কাগজ নেই।

আগের খবর : সৌদির তিন গন্তব্যে ল্যান্ডিং পারমিশন পেয়েছে বিমান

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,‘এরপর তারা (সৌদি আরব) বলল ৫৪ হাজার রোহিঙ্গা সেখানে আছে। এদের কোনো পাসপোর্ট নেই কিংবা কোনো কাগজ নেই। তারা বলছে, এদের তোমরা পাসপোর্ট ইস্যু কর। আমরা বলেছি, যারা আগে পাসপোর্ট পেয়েছে এবং তাদের পাসপোর্টের কাগজ যদি থাকে, তবে আমরা নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করব। কিন্তু এরা যদি আমাদের লোক না হয়, তবে আমরা নেব না।’

রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দেওয়া না হলে বাংলাদেশের লোকজনকে ফেরত পাঠানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কনিষ্ঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বলছে, তোমরা যদি এদের না নাও বা পাসপোর্ট ইস্যু না কর, তবে তোমাদের দেশ থেকে এত লোক আনা হচ্ছে, এটা আমরা বন্ধ করে দেব। তোমাদের যে ২২ লাখ লোক এখানে আছে, তাদের সম্পর্কে নেতিবাচক অবস্থান নেব।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!