মালয়েশিয়ায় পাসপোর্ট সেবা ব্যাহত, বাংলাদেশ হাইকমিশনারের ব্যাখ্যা-পরামর্শ (ভিডিও)

করোনাকালে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের নতুন ও পুরাতন মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রিনিউ করতে ৬ থেকে ৮ মাস সময় লাগছে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশি সময় লাগছে। এতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভিসা রিনিউ ও নতুন বৈধকরণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেক প্রবাসীর অভিযোগ ছিল, পোস্ট অফিস (পোসলাজুর) মাধ্যমে পাসপোর্ট পেতে আবেদন করলে ২ মাসেও দূতাবাসের অনলাইনে জমা হচ্ছে না।

এমন বাস্তবতায় করোনায় দূতাবাসের পাসপোর্ট ও অন্যান্য সেবা ব্যাহত হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার। তিনি মালয়েশিয়া প্রবাসীদের কাছে শিগগির পাসপোর্ট পৌঁছে দেওয়াসহ বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে আরও উন্নত সেবার প্রতিশ্রুতি দেন।

ভিডিওতে বিস্তারিত

YouTube video

Travelion – Mobile
Diamond-Cement-mobile

রোববার (১০ অক্টোবর) দূতাবাসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজের পাসপোর্ট সেবা নিয়ে লাইভে এসে প্রবাসীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে এই প্রতিশ্রুতি দেন।

হাইকমিশনার বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে বাংলাদেশে সার্ভার ডাউন ও সম্প্রতি পাসপোর্ট আবেদন বেড়ে যাওয়ায় পাসপোর্ট পেতে একটু সময় লেগেছে। আমরা প্রবাসী ভাইবোনদের যেভাবে দ্রুত উন্নত সেবা দিতে চেয়েছি তা দিতে পারিনি। তাছাড়া বিগত দিনে বিভিন্ন ত্রুটি বিচ্যুতি হয়েছে। এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

তিনি তিনি জানান, গত ১ বছরে দূতাবাস থেকে ২ লাখেরও বেশি পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে। আগে যেখানে পাসপোর্টের আবেদনের মাসিক চাহিদা ১০ হাজার ছিল, এখন সেটা বেড়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার হয়েছে। তবে চাহিদা বাড়লেও লোকবল বাড়েনি। সরকার চেষ্টা করছে ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে এর সমন্বয় করতে।

ঘন্টাব্যাপী লাইভে যুক্ত থেকে হাইকমিশনের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) রহুল আমিন, প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা) মিয়া মোহাম্মদ কেয়াম উদ্দিন পাসপোর্টসহ বিভিন্ন সেবা নিয়ে প্রবাসীদের প্রশ্নের উত্তর এবং পরামর্শ দেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!