মায়ানমারে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জরুরী ত্রাণ
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে বাংলাদেশ হতে মায়ানমারে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে জরুরী ভিত্তিতে ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে ঔষধ, তাবু, শুকনা খাবার এবং চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য রেসকিউ টিম ও মেডিকেল টিম পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে রবিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে ঢাকার কুর্মিটোলা ঘাঁটি থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে বিমান এবং আর্মি এভিয়েশনের একটি কাসা সি-২৯৫ডব্লিউ বিমান জরুরী ত্রাণ সামগ্রীসহ মায়ানমারের ইয়াংগুনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গমনের প্রাক্কালে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধান উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা মিয়ানমারে জরুরী সহায়তা প্রদানকারী দলের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের পূর্বপ্রস্তুতি পরিদর্শন করেন।
গত ২৮ মার্চ স্থানীয় সময় ১২ টা ৫০ মিনিটে মায়ানমার ও থাইল্যান্ডে ৭.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে মায়ানমারে এ পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ জনের বেশি প্রাণহানিএবং ৩০০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা যায়। মায়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে উক্ত ভূমিকম্পের ফলে খাদ্য ও পানি, বাসস্থান সংকট এবং জরুরী চিকিৎসা সেবার অভাবে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিবেশী দেশের মানবিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশ মর্মাহত এবং তাদের সহায়তা প্রদানে বদ্ধপরিকর। উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স হতে ১০ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও, চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মায়ানমার সরকারের প্রয়োজন সাপেক্ষে পরবর্তীতে এই উদ্ধারকারী এবং মেডিকেল দলসমূহ প্রেরণ করা হবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ সরকার প্রেরিত এই মানবিক সহায়তা মায়ানমারে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের দূর্ভোগ কমিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আগামী দিনগুলোতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বৈশ্বিক যে কোন প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আত্মনিয়োগের জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ।
সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ
