বাংলাদেশকে কালোতালিকা মুক্ত করল ইতালি
দীর্ঘ আট বছর
দীর্ঘ আট বছর পর বাংলাদেশকে কালোতালিকামুক্ত করেছে ইতালি সরকার। এতে ইউরোপীয় দেশটিতে সিজনাল ও ননসিজনাল ভিসায় প্রবেশের সুযোগ পাবেন বাংলাদেশিরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য এ সুবিধা মঞ্জুর করা হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে রোমে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিজনাল ও অসিজনাল শ্রমিক কর্মসূচিতে বাংলাদেশ অন্তুর্ভুক্ত করতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এমন তথ্য জানিয়ে বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে ইতালীয় সরকার শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে মৌসুমি ও অমৌসুমি শ্রমিক কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে রাজি হয়েছে।
এর আগে এ কর্মসূচির শর্ত লঙ্ঘন করায় বাংলাদেশি খামার শ্রমিকদের এই সুবিধা থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছিল।
সোমবার ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ প্রকাশ করা হয়। সিজনাল ভিসায় কৃষি, হোটেল ও পর্যটন খাতে ছয় মাসের জন্য বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ দেয় ইতালি সরকার।
এই ছয় মাস কাজ করার পর আবার এসব বিদেশি শ্রমিকদের তাদের নিজ দেশে ফিরতে হয়। আজ মঙ্গলবার থেকে ফের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এবার খণ্ডকালীন কাজের জন্য ৩০ হাজার ৮৫০ জন বিদেশি শ্রমিক নেবে ইতালি। কৃষি, হোটেল ও ট্যুরিজমসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবেন এসব শ্রমিক।
যেসব দেশ থেকে শ্রমিক আসতে পারবে, তার মধ্যে রয়েছে– আলবেনিয়া, আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, দক্ষিণ কোরিয়া, আইভরিকোস্ট, মিসর, এল সালভাদর, ইথিওপিয়া, ফিলিপাইন, গাম্বিয়া, ঘানা, জাপান, ভারত, কসোভো, মালি, মরক্কো, মরিশাস, মলডোভা, মন্টিনিগ্রো, নাইজার, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, উত্তর মেসিডোনিয়া প্রজাতন্ত্র, সেনেগাল, সার্বিয়া, শ্রীলংকা, সুদান, তিউনিশিয়া ও ইউক্রেন।
স্পিড আইডি ও অভিবাসী সার্ভিস কাপ অফিস থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আবেদনকারীরা। এ বছর আবেদনপত্র অনেক যাচাই-বাছাই করার পর একজন শ্রমিক ইতালিতে বৈধভাবে আসার সুযোগ পাবেন।