পর্তুগালে জাতীয় সংবিধান দিবস উদযাপন

পর্তুগালে যথাযথ মর্যাদা ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ উদযাপন করা হয়েছে।

সোমবার (৬ নভেম্বর) রাজধানী লিসবনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিলনায়তনে দিবসে অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর, সংবিধান প্রণেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বুদ্ধিজীবী, জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

Travelion – Mobile

রাষ্ট্রদূতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জাতীয় সংবিধান দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা হয়।

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্বাধীনতার পর অতি অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয়েছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে ১০ এপ্রিল ১৯৯৭২ সালে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন যারা মাত্র ৬ মাসের মধ্যে জাতিকে একটি খসড়া সংবিধান উপহার দেন। মাত্র ৬ মাসের মধ্যে একটি খসড়া সংবিধান প্রনয়ণ পৃথিবীর ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা। সংবিধানে আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য ও ক্ষমতায়ন তথাপি জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার সকল বিধান নিশ্চিত করা হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আমাদের সংবিধান আমাদের গর্ব, এর মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। সংবিধানের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর বিশদ আলোকপাত করে যেকোনো পরিস্থিতিতে মহান সংবিধান সমুন্নত রাখার ব্যাপারে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের জন্য আহবান জানান।

আলোচনার শুরুতে ‘জাতীয় সংবিধান দিবস- ২০২৩’ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়।

অনুষ্ঠানে পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশি সংগঠক ও দূতাবাসের সদস্যরা অংশ নেন।

সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!