ওমানে মানবপাচার চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজন প্রবাসীকে ১৭ বছর করে জেল এবং ৮৫ হাজার ৬০০ ওমানি রিয়াল করে জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে অর্থ পাচারের অভিযোগে একটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ রিয়ালেরও বেশি জরিমানা করেছে আদালত।
ওমানের সোহার আপিল আদালত এই রায় দেয়। আদালতের রায়ে চারজন মিশরীয় নাগরিক এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে দোষী সাব্যস্ত করে এই কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।
তাদের মধ্যে মোহাম্মদ নাবিল আল-সাইদ, শোরুক আহমেদ মোহাম্মদ ও কারিমা মোহাম্মদ সাদকে মানবপাচারের দায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানবপাচার প্রচারের অপরাধে তাদের প্রত্যেককে আরও ১০ বছরের জেল এবং ২০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হয়েছে।
চতুর্থ আসামি ইশরাকত আল-আসর ট্রেডিং এস্টাবলিশমেন্ট নামের প্রতিষ্ঠানকে অর্থ পাচারের অভিযোগে এক লাখ রিয়াল জরিমানা করা হয়, যার একটি অংশ কার্যকর করা হয়েছে। একই অভিযোগে প্রথম আসামী মোহাম্মদ নাবিলকে আরও ৫ বছরের জেল ও ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া পর্নোগ্রাফি অনলাইনে প্রকাশের অপরাধে নাবিল ও শোরুককে ৬ মাসের জেল এবং ৫০০ রিয়াল জরিমানা করা হয়েছে। আর ভিসা ও আবাসনের নিয়ম ভাঙায় কারিমা সাদকে ১০০ রিয়াল জরিমানা করা হয়।
রায়ের পর আদালত নির্দেশ দিয়েছে, সাজা ভোগ শেষে চার প্রবাসীকে স্থায়ীভাবে ওমান থেকে বহিষ্কার করতে হবে। সেই সঙ্গে অবৈধ অর্থ, ব্যবহৃত ডিভাইস ও কোম্পানির সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং কোম্পানিটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওমানের পাবলিক প্রসিকিউশনের তদন্তে জানা গেছে, এই চক্রটি চাকরি ও বিয়ের ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভুক্তভোগীদের ওমানে নিয়ে আসত। পরে তাদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হতো। তাদের পাসপোর্ট জব্দ করা হতো এবং বিভিন্ন ছবি-ভিডিও ব্যবহার করে গ্রাহক আকর্ষণের চেষ্টা চলত।
সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ