২৬ জনকে হত্যা , নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত সেই থাই সেনা

থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নাখন র‌্যাটচেসিমা শহরে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যাকারী সেনাসদস্য জাকরাফান্ত থোম্মা (৩২) দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান ওচার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ওই বন্দুক হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৫২ জন।

রবিবার দিনের প্রথমভাগে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির কথা প্রকাশ করে পুলিশ, যিনি তার ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছিলেন ‘মৃত্যু সবার জন্য অনিবার্য’। হাতে বন্দুক নিয়ে একটি ছবিও সেখানে পোস্ট করেছিলেন তিনি।

Travelion – Mobile

পুলিশের মুখপাত্র কিসানা ফাতানাশারোন সাংবাদিকদের দেওয়া এক বার্তায় বলেন, “ব্যাংকক শহর থেকে ২৫০ কিলোমিটার (১৫৫ মাইল) দূরের নাখন র‌্যাটচেসিমা শহরের বিভিন্ন জায়গায় গুলি চালায় ওই সেনাসদস্য।”

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, শহরের টার্মিনাল ২১ নামে একটি শপিং সেন্টারের সামনে গাড়ি থেকে বের হয়ে ওই সেনাসদস্য গুলি চালালে সেখানকার লোকজন দৌড়ে পালাতে থাকেন। ভিডিওতে গুলির শব্দও শোনা যায়।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, জাকরাফান্থ থোম্মা নামে সামরিক বাহিনীর সার্জেন্ট মেজর পদের ওই কর্মকর্তা প্রথমে তার কমান্ডিং অফিসারের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা করে। পরে সামরিক ক্যাম্প থেকে বন্দুক ও বিস্ফোরক চুরি করে। এরপর ওই ব্যক্তি কোরাট শহরের একটি বৌদ্ধ মন্দির এবং একটি শপিং সেন্টারে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়।

হামলার পরপরই ওই সেনা সদস্যকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে নিজেদের ফেসবুক পেজে পোস্টার দিয়েছে থাই পুলিশ। প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার পর শহরবাসীকে ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে থাই পুলিশ।

আগের খবর
থাইল্যান্ডে সেনা কর্মকর্তার গুলিতে ১২ জন নিহত

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!