২১ মে থেকে ৯টি শহরে ফ্লাইট চালু করবে এমিরেটস

দুবাইভিত্তিক বিশ্বখ্যাত বিমানসংস্থা এমিরেটস এয়ারলাইন্স ২১ মে থেকে সীমিত পরিসরে তাদের কার্যক্রম শুরু করছে। এর আওতায় তারা যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সংযোগ ফ্লাইট চালু করাসহ আটটি দেশের নয়টি শহরে ফ্লাইট কার্যক্রম শুরু করবে।

বুধবার একটি টুইটারে বার্তায় এই ঘোষণা দিয়েছে বিমানসংস্থাটি । করোনা মহামারীতে অন্তত দু’মাসের মত বন্ধ থাকার পর সীমিত পরিসরে তারা এ কার্যক্রম শুরু করছে।

বার্তাটিতে তারা জানায় আগামী ২১ মে থেকে তারা দুবাই থেকে লন্ডন হিথরো, ফ্রাঙ্কফুর্ট, প্যারিস, মিলান, মাদ্রিদ, শিকাগো, টরন্টো, সিডনি ও মেলবোর্নে তাদের ফ্লাইট সেবা চালু করতে যাচ্ছে । ফ্লাইটগুলো সরকারি অনুমোদন সাপেক্ষে এবং গন্তব্য দেশের অনুমোদন সাপেক্ষে যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ করা হবে বলে জানায় তারা।

Travelion – Mobile

এমিরেটস কর্তৃপক্ষ দুবাইয়ে নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে জানিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে করোনাভাইরাসের কারণে দুবাইয়ের বহু মানুষ আটকা পড়েছে, শুধু মাত্র তাদের দুবাই ফিরিয়ে আনতে সীমিত ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে ২১ মে থেকে।

তবে এ ফ্লাইটগুলোতে যারাই দুবাইয়ে প্রবেশ করবেন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার মধ্যদিয়ে ফ্লাইটে চড়তে হবে এবং ফেরার পর ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী আদেল আল রেধা বলেন, “এই সব গন্তব্যে শিডিউল যাত্রী সেবা পুনরায় চালু করতে পেরে আমরা সন্তুষ্ট। গ্রাহকরা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এই শহরগুলিতে এবং যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে যাতায়াত করার সুবিধা পাবে। তিনি বলেন আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নির্বিঘ্নভাবে সম্পাদন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।”

তিনি আরো বলেন, আমাদের সেবা চালুতে প্রধান গুরুত্ব পাচ্ছে সামাজিক দুরত্ব ও জীবাণুমুক্ত থেকে ভ্রমণ করা। এক্ষেত্রে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিমানবন্দরে অতিরিক্ত ব্যবস্থা কার্যকর করেছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের কর্মী, গ্রাহক ও এ সংশ্লিষ্টদের নিরাপদ ও সুস্থ রাখাটাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

এ সপ্তাহে এমিরেটস দুবাই থেকে তিনটি গন্তব্যে তাদের প্রত্যাবাসন ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এগুলো হল টোকিও’র নারিতা বিমানবন্দর (১৫ মে), কনাকারি বিমানবন্দর (১৬ মে), এবং ডাকার (১৬ মে)।

যেসব যাত্রী দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাতায়াত করবেন এবং যেসব কর্মচারী রয়েছেন তাদের প্রত্যেকের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হবে।

এমিরেটস-এর সকল কেবিন ক্রু, বোর্ডিং এজেন্ট এবং গ্রাউন্ড স্টাফরা যাত্রীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগে থাকবেন তারা ব্যক্তিগত নিরাপত্তামূলক সরঞ্জাম পরিধান করবেন। সব কেবিন ব্যাগেজ চেক করা প্রবেশ করানো হবে আর যাত্রীরা কেবল ল্যাপটপ, হ্যান্ডব্যাগ, বা শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য বোর্ডিংয়ে নিতে পারবেন। অবতরণের পর সব এমিরেটসের সব উড়োজাহাজ উন্নতমানের পরিচ্ছন্নতা আর জীবাণুমুক্ত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে।

করোনা ঠেকাতে গেল ২৩ মার্চ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এখন সেটি ধীরে ধীরে আবার তুলে নেয়া হলেও যাত্রীদের থেকে উপর সমস্ত সরকারি বিধিনিষেধ কবে তোলা হবে, তা আপাতত নিশ্চিত নয়। কারণ সকল জাতীয়তার আগমনে আরব আমিরাতের নিষেধাজ্ঞা এবং দেশের বাইরে নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশনা এখনো জারি রয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!