জাপানের পর এবার চীনে যাওয়া ফ্লাইটে বাংলাদেশি যাত্রীর করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে ফ্লাইট।
বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে গুয়াংজু যাওয়া যাওয়া চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের ১৭ আরোহীকে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর বাংলাদেশে ওই ফ্লাইট আগামী ২২ শে জুন থেকে ৪ সপ্তাহের জন্য স্থগিত রাখার নোটিশ জারি হয়েছে। চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর গুয়াংজু থেকে ঢাকা রুটে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে চলাচল করছিল এই ফ্লাইটটি।
চীনের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে রবিবার রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।
ঢাকা থেকে গত ১১ জুন গুয়াংজু যাওয়া চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের সিজেড ৩৯২ ফ্লাইটের ১৭ জন যাত্রী কভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। এই পরিস্থিতিকে চীনের কর্মকর্তারা ‘বর্তনী-ছেদকের’ সঙ্গে তুলনা করে ফ্লাইটটি নিষিদ্ধ করেন।
চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন সিজিটিএন বা চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের দাবি, ফ্লাইট থেকে নামার পর যাত্রীদের যে পরীক্ষা হয়, সেখানে পজিটিভ ফলাফল আসে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে করোনা শনাক্ত হওয়া ১৭ যাত্রীই বাংলাদেশ থেকে দেশে যাওয়া চীনা নাগরিক।
গত কয়েক মাস ধরে চীনের সঙ্গে অধিকাংশ দেশের বিমানচলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় সম্প্রতি কয়েকটি দেশ থেকে প্রতি সপ্তাহে একটি করে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয় চীন সরকার।
বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, চীন সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা এ মাসের শুরুতে একটি নীতি ঘোষণা করে। এই নীতির অধীনে করোনার প্রাদুর্ভাব হলে সচল করা হবে ‘সার্কিট ব্রেকার’। এর অধীনে ২২ শে জুন থেকে সিজেড ৩৯২ ফ্লাইট চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত রাখা হবে।
নীতিতে আছে কোনো ফ্লাইটের পাঁচজন যাত্রী করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হলে এক সপ্তাহের জন্য তাদের স্থগিত করা হচ্ছে। ১০ জনের বেশি হলে চার সপ্তাহ।
চীন এখন দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায়ও ৫৭ জন নতুন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন সেখানে। এপ্রিলের ১৩ তারিখের পর একদিনের হিসাবে দেশটিতে এত রোগী এই প্রথম।
নতুন মৃত্যুর খবর অবশ্য নেই। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮৩ হাজার ১৩২ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ৪ হাজার ৬৩৪ জন মারা গেলেও নতুন রোগী বাদে বাকিরা সুস্থ।৪ জন মারা গেলেও নতুন রোগী বাদে বাকিরা সুস্থ।
